গণনাকেন্দ্রে অতন্দ্র প্রহরীর মতোই সতর্ক থাকতে হবে, এজেন্টদের নির্দেশ তৃণমূলের
বর্তমান | ১২ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: নির্বিঘ্নে মিটেছে বাগদা বিধানসভার উপ নির্বাচন। গণনা রাত পোহালেই। এবার গণনা নিয়ে আগে থেকে যথেষ্ট সাবধানী তৃণমূল। কাউন্টিং এজেন্টদের কী কী করণীয়, তা নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কক্ষ ছাড়া যাবে না। শুধু তাই নয়, গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে যেসব এলাকায় তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছিল, সেই বুথগুলিতে গণনার ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড় তুলতে চেষ্টায় খামতি রাখেনি বিজেপি। কিন্তু শেষমেষ বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই আস্থা রেখেছে। লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রেও গণনা কেন্দ্রকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়াল বৈঠক করে তিনি কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, গণনা পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র ছাড়া যাবে না। এবার বাগদা উপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কাউন্টিং এজেন্টদের তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেককেই বলা হয়েছ, গণনা পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কক্ষ ছাড়া যাবে না। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে মোট ৩০১টি বুথের মধ্যে ২১২টি বুথে পিছিয়ে ছিল রাজ্যের শাসক দল। মোট ১২টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ন’টি পঞ্চায়েতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘এজেন্টদের বলে দেওয়া হয়েছে, শেষ পর্যন্ত গণনাকেন্দ্র বুক দিয়ে আগলে রাখতে হবে। কোথাও বিজেপি যদি ভুল বোঝানো বা প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে সরাসরি রাজ্য প্রশাসনকে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। যে বুথগুলিতে লোকসভায় আমাদের হার রয়েছে, সেগুলি গণনার সময় ভালো করে নজরদারি চালাতে হবে।’ মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘ভোটে আমাদের প্রার্থীকে বিপুলভাবে মানুষ সমর্থন করেছেন, এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা লড়াই করেই জিতব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল গণনা। তাই আমরা এজেন্টদের বলেছি শেষ পর্যন্ত সতেজ থাকতে।’ তবে বিজেপির দাবি, ইভিএম খুললে চোখে সর্ষেফুল দেখবে তৃণমূল। তখন ওদের এজেন্টরা লজ্জায় গণনা কেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য হবে। প্রসঙ্গত, বুধবার মতুয়া অধ্যুষিত বাগদা বিধানসভার উপ নির্বাচন ছিল। এদিন সকাল থেকে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর। কর্মীদের সঙ্গেই দিনভর কাটিয়েছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস অবশ্য ভোট নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন। শেষ হাসি কে হাসবেন, তা জানা যাবে আর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই।