• ভরা বর্ষায় জলবন্দি হওয়ার আশঙ্কায় চন্দননগর
    বর্তমান | ১২ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: বর্ষার আগে চন্দননগর পুরসভা এলাকায় নিকাশি নালা সাফাইয়ের কাজ হয়নি। ফলে এই বর্ষায় শহরবাসী জলবন্দি হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বাসিন্দারা যেমন সরব হয়েছেন, তেমনই হইচই ফেলেছে বিরোধীরা। এমনকী, তৃণমূল কাউন্সিলারদের একাংশের মধ্যেও এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু তাঁরা দলীয় আনুগত্য থেকেই প্রকা঩শ্যে মুখ খুলছেন না। বাসিন্দাদের দাবি, পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড, মহাডাঙা কলোনির মতো বস্তি এলাকা এমনিতেই নিচু। এরপর ভরা বর্ষায় নিকাশি নালা উপচে গেলে পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। পুরসভার দাবি, নিকাশি নালা সাফাইয়ের কাজ আগেও হয়েছে, এখনও চলছে।


    চন্দননগর পুরসভার মেয়র প্রবীণ তৃণমূল নেতা রাম চক্রবর্তী বলেন, নিকাশি নালা সাফ করার জন্য ৬০০ কর্মদিবস ঘোষণা করা হয়েছে। নালা সংস্কারের কাজ চলতি মাসেও চলছে। বিরোধীরা প্রচারের আলোয় থাকতে অসত্য বলছেন। ভারী বৃষ্টি হলেও চন্দননগরের মানুষের কোনও সমস্যা হবে না। মহাডাঙা কলোনির অবস্থা বাম আমল থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে। যদিও সিপিএমের কাউন্সিলার অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বর্ষার আগে নর্দমা সাফাই করা পুরসভার স্বাভাবিক কাজের মধ্যেই পড়ে। জুলাই মাসে বর্ষার সময় এই কাজ হবে কেন? পরিকল্পনায় যে গলদ ছিল, তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।


    চন্দননগর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনিতেই ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা এখানে বড় সমস্যা। অনেক জায়গায় আবর্জনা জমে যাওয়ায় সমস্যা জটিল আকার নিয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় নর্দমাগুলি কার্যত অবরুদ্ধ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের অনেক জায়গায় নিকাশি নালা বুজে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পুরসভার তরফে সাফাইয়ের কাজ নিয়মিত তত্ত্বাবধান করা হয় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। চন্দননগরে বেশকিছু এলাকা নিচু। অতীতে মহাডাঙা কলোনির মতো বস্তি নিয়ে একটা চালু কথা ছিল, ‘মহাডাঙায় ডাঙা কম জল বেশি’। এহেন মহাডাঙা ছাড়াও পুরসভার অনেকগুলি ওয়ার্ড নিচু। যেখানে বৃষ্টির জল জমে। নিকাশি নালার নাব্যতা কম থাকলে সেই জল নামতে দেরি হয়। এই নালাগুলি থেকে এবার পলি তোলার কাজ শেষ করতে পারেনি। ফলে, নিচু এলাকা তো বটেই, অন্যান্য এলাকাতেও জল জমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)