• নামী সংস্থার সঙ্গে ব্যবসার টোপ ১৬ কোটি টাকা প্রতারণায় ধৃত ১
    বর্তমান | ১২ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: একটি নামী সংস্থার সঙ্গে ব্যবসা করার টোপ। আন্তর্জাতিক কল সেন্টার, ঘড়ির ডিস্ট্রিবিউটরশিপ সহ একাধিক ব্যবসার ফাঁদে পা দিয়ে ১৬ কোটি টাকা খুইয়েছিলেন গুজরাতের এক ব্যবসায়ী। এমনকী, অফিসের কর্মীদের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছিল সচিত্র পরিচয়পত্রও। অবশেষে ওই ঘটনার তদন্তে নেমে একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল বাগুইআটি থানার পুলিস। ধৃতের নাম শুভজিৎ মুখোপাধ্যায়। আরও এক অভিযুক্ত সৌমেন সেনগুপ্ত পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাতে ওই ব্যবসায়ীর বৈধ কল সেন্টার ছিল। দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সৌমেন ও শুভজিতের পরিচয় হয়েছিল। এই দু’জন নিজেদের একটি নামী সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেয়। তারপর তারা পশ্চিমবঙ্গে তাদের সংস্থার সঙ্গে ব্যবসা করার টোপ দেয়। ওই ব্যবসায়ী রাজি হয়ে যান। ওই দু’জন বলেছিল, ওই সংস্থার হয়ে তারা একটি আন্তর্জাতিক কল সেন্টার খুলে দেবে। লাইসেন্স থেকে যাবতীয় কাগজপত্র তারাই তৈরি করে দেবে। দ্বিতীয়ত, ঘড়ি ও খাদ্যপণ্যেরও ডিস্ট্রিবিউটরশিপ দেবে তাঁকে। এই টোপ দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কয়েক দফায় তারা ১৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। কিন্তু, বাস্তবে কিছুই করেনি। কলকাতায় যে অফিস হবে, সেখানকার কর্মীদের আইকার্ডও বানাতে বলে দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো আইকার্ড তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, ২০১৫ সাল নাগাদ ওই ব্যবসায়ী বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাই টাকা ফেরত চান। কিন্তু, এই দু’জন টাকা ফেরত দেননি। উল্টে, টাকা চাইলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিত বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ী পুলিসকে জানিয়েছেন, তিনি টাকা চাইতে একবার কলকাতাতেও এসেছিলেন। সেই সময় এই দু’জন তাঁকে একটি হোটেলে আটকে মারধর করেছিল। তারপর ওই ব্যবসায়ী প্রাণের ভয়ে চলে যান।


    গত এপ্রিল মাসে আদালত মারফত ওই ব্যবসায়ী সৌমেন ও শুভজিতের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর তদন্ত শুরু করে বাগুইআটি থানার পুলিস। ওই ব্যবসায়ী কবে, কখন, কোন অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছিলেন, তার নথি পুলিসকে দেন। মঙ্গলবার পুলিস শুভজিৎকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতকে জেরা করা হবে। অপর অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। শীঘ্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)