এই সময়: দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে আর্থিক গোলমাল। মাল সরবরাহ করেও অন্য ব্যবসায়ীর থেকে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ। তার মধ্যে কলকাতা পুলিশের দুই থানার নাক গলানো নিয়ে মামলা হলো হাইকোর্টে। এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়া, হেনস্থা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় তপসিয়া এবং প্রগতি ময়দান থানা।বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ওই দুই থানার ১৮ জুনের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ওই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। দুই থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আগামী ১ অগস্ট পরবর্তী শুনানিতে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে।
বকেয়া ৯৬ লক্ষ টাকা নিয়ে বছরখানেক ধরে টানাপড়েন চলছিল দুই ব্যবসায়ীর। সম্প্রতি তপসিয়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী তাঁর টাকা না পাওয়া নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ, ১৮ জুন গভীর রাতে টাকা বাকি রাখায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার বাড়ি থেকে তুলে ওই থানার পুলিশ নিয়ে যায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে।
সেখানে মেডিক্যাল টেস্টের পর তপসিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। হাইকোর্টে এ দিন শুনানিতে ওই ব্যবসায়ীর আইনজীবী অপলক বসু ও অমিত চৌধুরীর অভিযোগ, রাত দুটো নাগাদ আমার মক্কেলের অ্যাকাউন্ট থেকে অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর তিনটি অ্যাকাউন্টে তিন দফায় এক কোটি টাকা ট্রান্সফারে বাধ্য করে পুলিশ। দুই থানার পুলিশ রীতিমতো নির্যাতন করে ওই টাকা দেওয়ার জন্যে।
শেষ পর্যন্ত ৯৬ লক্ষ টাকা বকেয়া থাকলেও এক কোটি টাকা ট্রান্সফারে বাধ্য করা হয়। পরের দিন সকালেই অভিযোগকারী ব্যবসায়ী মামলা তুলে নেন। টাকা ট্রান্সফারে বাধ্য হওয়া ব্যবসায়ীর তরফে ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের যাবতীয় নথি এ দিন আদালতে পেশ করা হয়।
রাজ্যের তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইতিমধ্যে একজন এসি’র নেতৃত্বে দুই থানার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। কয়েক দিন সময় দেওয়া হলে আমরা রিপোর্ট দিতে পারব।’ এর পরেই আদালত দুই থানা ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়।