• টাস্ক ফোর্স বাজার ছাড়তেই ফের চড়ে গেল দাম
    এই সময় | ১২ জুলাই ২০২৪
  • এই সময়: অভিযানের দ্বিতীয় দিন বাজারে গিয়েই ক্ষোভের মুখে পড়লেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। বুধবার কাঁকুড়গাছির ভিআইপি বাজারের পরে বৃহস্পতিবার মানিকতলা এবং কলেজস্ট্রিট বাজারে হানা দিয়ে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা বচসায় জড়ান বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের সঙ্গে। দেখা যায়, এদিনও বেগুন বিকোচ্ছে ১০০ টাকা কিলো দরে।অথচ পাইকারি বাজারে বেগুনের দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। টোম্যাটো থেকে শসা, পটল-ঢেঁড়শ-ঝিঙে সব আনাজের দামই পাইকারি বাজারের থেকে ওই সব বাজারে অনেকটা বেশি। টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা বিক্রেতাদের কাছে জানতে চান, সব আনাজের দাম এত বেশি কেন? বিক্রেতারা জবাব দেন, তাঁদেরও বেশি দামে আনাজ কিনতে হওয়ায় বিক্রি করতে গিয়ে সেই দর আরও বেড়ে যাচ্ছে।

    এরপর কত দামে বিক্রেতারা আনাজ কিনছেন, তার নথি দেখতে চান টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা। আর তা নিয়েই শুরু হয় বচসা। বিক্রেতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, পাইকারি বাজারের থেকে এত বেশি দামে আনাজ বিক্রি করা যাবে না। শেষ পর্যন্ত ঝামেলা মিটিয়ে সব বিক্রেতারা দাম কমিয়ে আনাজ বিক্রি শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে বেগুনের দর নেমে আসে ৮০ টাকায়। যে টোম্যাটো ছুঁতে গেলে ছেঁকা লাগছিল, তা নেমে আসে ৬০ টাকা কেজিতে।

    এর পর বাজারে আসা সাধারণ মানুষও টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের কাছে চড়া দাম নিয়ে অভিযোগ জানান। বাসিন্দারা প্রশ্ন তোলেন, আপনারা নামলেই যদি আনাজের দাম কমে, তা হলে কেন নিয়মিত নজরদারি করা হয় না? তবে টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা চলে যেতেই ফের দাম বেড়ে যায় আনাজের। এতে নতুন করে অসন্তোষ ছড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে।

    কিন্তু টাস্ক ফোর্স বাজার ছাড়তেই যদি দাম ফের বেড়ে যায়, তা হলে এমন অভিযানে লাভ কী? টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধান আমরা অবশ্যই করব। মানিকতলা বাজার কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। সতর্ক করার পরেও যে সব বিক্রেতারা অন্যায্য ভাবে দাম বাড়িয়ে আনাজ বিক্রি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী কয়েকদিন কলকাতা এবং জেলার বাজারগুলিতে চলবে এই অভিযান।’
  • Link to this news (এই সময়)