বিবাহ বিচ্ছদের মামলা চলাকালীনই গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছ উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মোহনপুর এলাকায়। গুলিবিদ্ধ গৃহবধূর নাম শম্পা দাস। তাঁর কোমরে গুলি লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে ওই এলাকার বাসিন্দা রঘুনাথ দাসের মেয়ে শম্পা দাসের সঙ্গে ধুতুরদহ এলাকার বাসিন্দা অসিত সরদারের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। বাবার বাড়িতেই থাকেন শম্পা। অভিযোগ, সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে কেউ বা কারা তাঁকে গুলি করেছে। শম্পার কোমরে গুলি লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। গুলি চালানোর পর ঘটনাস্থলেই আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
এই বিষয়ে গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ শম্পা দাসের কাকিমা সুজাতা দাস বলেন, 'রাত ২টো ৪০ নাগাদ আমার মেজো জা আমায় ডাকেন। আমার স্বামী উঠতেই বলে শম্পাকে গুলি করেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমার স্বামী বেরিয়া যান। অন্ধকারে ছুটে গিয়ে দেখি শম্পা যন্ত্রণায় কাতড়াচ্ছে। একটাই গুলি লেগেছে।' অন্যদিকে বাদল প্রামাণিক নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, 'শম্পা তাঁর বাবার বাড়িতেই থাকেন। গতরাত্রে জানলা খোলা ছিল। সেই খোলা জানলা দিয়েই গুলি করেছে। কে বা কারা গুলি করেছে জানি না। এলাকা এমন ঘটনা আগে কোনওদিন ঘটেনি। আমরা চাই যে বা যারা এই কাজ করেছে তাদের সাজা হোক।'
এদিকে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। এই বিষয়ে হাড়োয়া থানা সূত্রে খবর, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোল ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। দ্রুত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে। এই বিষয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহদি হাসানকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এমনকী মেসেজ করা হলেও এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা পর্যন্ত সেই মেসেজের উত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এলাকায় আগে কোনওদিন এমন ঘটনা ঘটেনি। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে এলাকার সাধারণ মানুষ।