• দখল জমিতে জায়ান্টের প্রাসাদ, ছিল না অনুমতি
    এই সময় | ১২ জুলাই ২০২৪
  • এই সময়, আড়িয়াদহ:

    বছর খানেক আগেও ফাঁকা পড়েছিল আড়িয়াদহ মৌসুমী মোড় লাগোয়া প্রতাপ রুদ্র লেনের কয়েক কাঠা ওই জমি। বিকেল হলেই পাড়ার বাচ্চারা পুকুরের পাড়ে খেলতে জড়ো হতো। জমির প্রকৃত মালিক কে তা জানতেন না এলাকাবাসী। তাই স্থানীয়রা দাবি করেছিলেন ফাঁকা জায়গাটি বাচ্চাদের খেলার জন্য রেখে বাকি অংশে পার্ক করা হোক।এর মধ্যেই জমিটি নজরে পড়ে দুধ ব্যবসায়ী থেকে প্রোমোটার হয়ে ওঠা জায়ান্টের৷ জমিটি দখল করে সেখানে এক বছরের মধ্যেই অট্টালিকা গড়ে তুলেছিল জায়ান্ট। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার সময় বাসিন্দাদের কয়েকজন প্রথম দিকে আপত্তি করলেও জায়ান্ট বাহিনীর দাপটে পরে তাঁরাও চুপ করে যান। বিনা বাধায় এক বছরের মধ্যে মাথা তোলে তিনতলা বিশাল বাড়িটি।

    জায়ান্টের পরিবারের সদস্যরা সেখানে থাকতেও শুরু করে দেন। যদিও কামারহাটি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির কোনও অনুমতি পুরসভা দেয়নি। পুরসভার নথিতে ওই জমির কোনও রেকর্ডও নেই। শুধু জমি দখল করে বাড়ি তৈরিই নয়, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মার্বেলে মোড়া ওই অট্টালিকা তৈরির পিছনে অর্থের জোগান নিয়েও।

    সেখানেও রয়েছে রহস্য। অভিযোগ, বাহুবলী হওয়ার সুবাদে অন্য প্রোমোটারদের প্রোজেক্টের ইমারতি দ্রব্য নিখরচায় নজরানা পেয়ে যেত জয়ন্ত। অন্য প্রোমাটারদের ধমকে তাদের প্রোজেক্টে কাজ করা মিস্ত্রিদেরও তার বাড়ির কাজ করাতে বাধ্য করা হতো।

    এই প্রসঙ্গে তৃণমূলেরই পুরপ্রধান গোপাল সাহা এ দিন বলেন, ‘কোনও বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না। পুরসভার নথি অনুযায়ী ওই বাড়িটি সম্পূর্ণ অবৈধ। পুরসভা নোটিস পাঠাচ্ছে। উত্তর না পেলে আইনানুগ যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।’

    অন্যদিকে, এ দিনই আড়িয়াদহ কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করলো বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি। বাম ও কংগ্রস যৌথ ভাবে এবং বিজেপি আলাদা ভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দাবিতে। সিপিএমের বেলঘরিয়ার পাঁচটি এরিয়া কমিটি ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে বেলঘরিয়া থানার সামনে জমায়েত করে।

    নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় ও সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্র। বিজেপিও আড়িয়াদহ কালাচাঁদ মোড় থেকে মিছিল করে তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে থেকে নওদাপাড়া, রথতলা মোড় হয়ে বেলঘরিয়া থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
  • Link to this news (এই সময়)