রাখে নুলিয়ারা তো মারে কে! দিঘার সৈকতে আরাধ্য গোপালকে স্নান করাতে গিয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু, সেই সময়ই বিপত্তি। তলিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, কর্তব্যরত নুলিয়ার চেষ্টায় প্রাণ বেঁচেছে তাঁর। গোপালের আশীর্বাদে তাঁর জীবনরক্ষার দূত হয়ে এসেছেন নুলিয়ারাই, অশ্রুসিক্ত চোখে বললেন ওই মহিলা।দিঘার সৈকতে গোপাল ঠাকুরকে স্নান করাতে গিয়েছিলেন এক মহিলা পর্যটক। কিন্তু, আচমকা ঢেউয়ে তলিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাঁর উপর নজর যায় নুলিয়াদের। এরপর তাঁদের চেষ্টাতেই প্রাণে বাঁচেন তিনি। ওই মহিলা পর্যটকের নাম পুজা পাল। তাঁর বয়স ৩২। তিনি টিটাগড়ের বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে দিঘা ঘুরতে এসেছিলেন পুজা। তাঁরা পুরনো দিঘার একটি বেসরকারি হোটেলে ওঠেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জোয়ারের সময় ২ নং 'ব্লু ভিউ' ঘাটে গোপাল ঠাকুরকে স্নান করাচ্ছিলেন পুজা। সেই সময় ঘটে বিপত্তি। আচমকাই তলিয়ে যেতে শুরু করেন ওই মহিলা। এদিকে তা নজরে আসে কর্তব্যরত নুলিয়া কর্মী মিলন দাস। নিজের জীবন বাজি রেখে তিনি ঝাঁপিয়ে উদ্ধার করেন পুজাকে। প্রায় দশ মিনিট ঢেউয়ের সঙ্গে 'যুদ্ধ' চলে মিলনের।
এদিকে উদ্ধার হওয়ার পর মিলনকে অশ্রুসিক্ত চোখে ধন্যবাদ জানান পুজা। তিনি বলেন, 'গোপাল আমাকে রক্ষা করেছেন।' তিনি কর্তৃব্যরত নুলিয়াকেও ধন্যবাদ জানান। অন্যদিকে, মিলন বলেন, ‘আমি ঘাটের উপর নজরদারি চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একজন তলিয়ে যাচ্ছেন। এরপর আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি।’
দিঘার ঘাটগুলিতে সুরক্ষার জন্য বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেখানে নুলিয়ারা কড়া নজরদারি চালান। তাঁদের তৎপরতায় সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
অন্যদিকে, বারংবার পর্যটকদের সচেতন করা হয় দিঘায়। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার, মাইকে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু, তারপরেও কিছু পর্যটক এখনও সচেতন নন বলে আক্ষেপ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের।
উল্লেখ্য, এক মাস আগে দিঘায় তলিয়ে মৃত্যু হয় বছর ২২-এর এক যুবক প্রকাশ সাউয়ের। ওই যুবক ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে বন্ধুর কাছে বেড়াতে এসেছিল সে। এরপর দুই বন্ধু মিলে বেড়াতে গিয়েছিলেন দিঘায়। সেখানে গিয়েই তলিয়ে যায় প্রকাশ সাউ নামক যুবক। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল।