সার্ভিস রাইফেলের গুলিতে মৃত্যু মহিলা বিএসএফ জওয়ানের, নদিয়ার ধানতলায় চাঞ্চল্য
এই সময় | ১২ জুলাই ২০২৪
সার্ভিস রাইফেলের গুলিতে মৃত্যু বিএসএফ-এর মহিলা জওয়ানের। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার ধনতলার ইছামতি বর্ডার আউট পোস্টে। মৃত ওই মহিলা জওয়ানের নাম অনামিকা কুমারী (২৫)। তিনি বিহারের সরণ জেলার অবতারপুরের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। নিজের সার্ভিস রাইফেলের গুলিতেই ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।সূত্রের খবর, গত নভেম্বর মাসে বিএসএফ-এ চাকরি পেয়েছিলেন অনামিতা কুমারী। নদিয়ার ধানতলার ইছামতি বর্ডার আউট পোস্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। বুধবার রাত আনুমানিক ১১টা নাগাদ হঠাৎই মহিলা বিএসএফ কর্মীদের থাকার জায়গায় গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলির শব্দে সহকর্মীরা ছুটে গিয়ে দেখেন ওই মহিলা জওয়ান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এরপর বৃহস্পতিবার নদিয়ার ধানতলা থানার পুলিশ বিএসএফ-এর সহযোগিতায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিশ মর্গে পাঠায়। সেখানেই ময়নাতদন্ত হয় দেহের। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। যদিও এই ঘটনায় বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে এই বিষয়ে রানাঘাটা পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাল্টু হালদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এটি বিএসএফ-এর বিষয়। এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।'
সূত্রের খবর, ঘটনার দিন অনামিকার মধ্যে কোনওরকম অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করেননি তাঁর সহকর্মীরা। যদিও তবে বিএসএফ-এর একটি সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে ঘটানাটি আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বাস্তবেই ওই জওয়ান আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি ঘটনার নেপথ্যে অন্যকিছু রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালেও নদিয়ায় এক বিএসএফ জওয়ানের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ঘটে। কর্মরত অবস্থায় নিজের মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হন ওই জওয়ান। মৃত জওয়ানের নাম ছিল সঞ্জয় কুমার পটেল। নদিয়ার তেহট্টের নফর চন্দ্রপুর ৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত ছিলেন তিনি। নিজের আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হন ওই জওয়ান। ক্যাম্পের ভিতর হঠাৎ করেই গুলির শব্দ শুনে হকচকিয়ে হয়ে যান তাঁর সহকর্মীরা। এরপর তাঁরা ছুটে গিয়ে দেখেন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সঞ্জয়। তড়িঘড়ি তাঁকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওই জওয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।