পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস মিলবে বারাসতে, কাজ শুরু জোরকদমে
এই সময় | ১২ জুলাই ২০২৪
রান্নার জন্য ভুড়ি ভুড়ি টাকা দিয়ে আর কিনতে হবে না গ্যাস সিলিন্ডার। পাইপলাইন দিয়েই এক্কেবারে সস্তায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস। পাইপলাইনে গ্যাস পরিষেবা চালু হতে চলেছে এবার বারাসাতে। নতুন পরিষেবার অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।বারাসাত পুরসভার এলাকার ২৭ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরকডাঙ্গা এলাকায় পাইপলাইনে গ্যাস পরিষেবার কাজ শুরু হল শুক্রবার থেকে। আপাতত পুরসভার শহর এলাকায় এই পরিষেবা চালু করতে তৎপর বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড। সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন বারাসাত পুরসভা এলাকায় ২২ কিলোমিটার এই পাইপ লাইনের কাজ চলছে। এক মাসের মধ্যে তাঁরা সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করবেন। এরপরই গোটা পুরসভা এলাকায় পাইপলাইনে গ্যাস পরিষেবা চালু হবে।
১৪ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার সাধারণ মানুষকে প্রায় 829 টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়। পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস পরিষেবা চালু হলে তা ৫০০ টাকার কাছাকাছি চলে আসবে। অনেকটাই সাশ্রয় হবে এলাকাবাসীর। উল্লেখ্য, জগদীশপুর-হলদিয়া-বোকারো-ধামরা পাইপ লাইন প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় এই কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই মতো বিপুল বিনিয়োগও করা হয়।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানান, আজ থেকে এই কাজ শুরু হল। শহরাঞ্চলের মানুষ আপাতত এই পরিষেবা পাবেন। আগামীতে গ্রামাঞ্চলের মানুষ ও যাতে এই পরিষেবা পায় সেদিকেই তাঁদের লক্ষ্য। পাইপ লাইনে গ্যাস পরিষেবার উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। তবে দাম কমবে তাতেই আশাবাদী রয়েছে সাধারণ মানুষজন। পাশাপাশি পাইপ লাইনে গ্যাস পরিষেবা চালু করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমবে অনেকটাই। তবে পাইপ লাইনে গ্যাস পরিষেবা কতদিনে সম্পন্ন হয় সাধারণ মানুষে পরিষেবা কবে পায় সেদিকেই তাকিয়ে সমস্ত মহল।
স্থানীয় বাসিন্দা মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের মতো মানুষের অনেকটাই সুবিধা হবে। গ্যাসের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের নাভিশ্বাস উঠেছে। পাইপ লাইনে গ্যাস পরিষেবা চালু হলে অনেকটাই সাশ্রয় হবে। আমাদের খরচ খরচা অনেকটাই কমবে।’