• জেলবন্দি মাও নেতা অর্ণবকে পিএইচডি করতে দিতে হবে… আশার আলো দেখালেন কুণাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ জুলাই ২০২৪
  • জেলবন্দী মাওবাদী নেতা অর্ণব দামের পিএইচডিকে ঘিরে ফের অনিশ্চয়তার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে। তিনি কি আদৌ পিএইচডি করতে পারবেন? যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন পিএইচডি করতে পারবেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার এনিয়ে জেলবন্দি মাও নেতার পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

    তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, মাওবাদী অভিযোগে বন্দি অর্ণব দামকে পিএইচডি করতে দিতে হবে। ও যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী ও কারামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁরা সহযোগিতা করবেন। অর্ণবকে হুগলি থেকে বর্ধমান জেলে সরানো হবে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ আন্তরিক। তবে উপাচার্য অকারণ জট তৈরি করে বাধা দিচ্ছেন।

    কার্যত অনেকটাই আশার আলো দেখালেন কুণাল ঘোষ।

    এদিকে এর আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ জানিয়েছিলেন, আমাদের এখানে ৬ মাসের একটা কোর্স ওয়ার্ক হয়। সেটা অফলাইনে হয়। সেক্ষেত্রে হুগলি সংশোধনাগারের ছাত্র মেধা তালিকায় যার নাম প্রথমে তিনি কীভাবে যাতায়াত করবেন সে ব্য়াপারে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাই কাউন্সেলিং স্থগিত রাখা হয়।

    এদিকে এর আগে পিএইচডি করতে দেওয়ার দাবিতে সংশোধনাগারে অনশনের হুমকি দিয়েছিলেন অর্ণব। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। তিনি দাবি করেছিলেন পিএইচডি করতে দিতে হবে। শত প্রতিকূলতার মাঝে জেল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে পিএইচডির পরীক্ষায় একেবারে প্রথম স্থানে রয়েছেন অর্ণব।

    এদিকে এপিডিআরও অর্ণব যাতে পিএইচডি করতে পারেন তার জন্য নানা রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হুগলি জেল সুপারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাঁদের প্রতিনিধিরা।

    মেধাবী বললেও মনে হয় কম বলা হয় অর্ণবকে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে পিএইচডি করার যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন‌ একসময়ের এই মাওবাদী নেতা। অ্যাকাডেমিক স্কোর ও ইন্টারভিউয়ের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন অর্ণব। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৬.৮৬৭০।

    এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ তনভির নাসরিন বলেছিলেন, ‘‌খুবই মেধাবী ছাত্র অর্ণব। আমাদের বিভাগে গবেষণা করার সুযোগ পাচ্ছেন। পিইচডিতে ভর্তির ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ অ্যাকাডেমিক স্কোর থেকে হয়। আর ইন্টারভিউতে থাকে ৩০ নম্বর। সব মিলিয়ে অর্ণব সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। এটা একটা খুবই ভাল দিক। উনি এখানে পিএইচডি করলে সেটা ইতিহাস হয়ে থেকে যাবে।’‌

    কিন্তু আচমকাই তাতে জটিলতা তৈরি হয়। স্থগিত করে দেওয়া হয় কাউন্সেলিং।

    প্রসঙ্গত ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। মৃত্যু হয় ২৪ জন জওয়ানের। পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় পাঁচজন মাওবাদীর। এই হামলার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন অর্ণব দাম ওরফে বিক্রম।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)