কাঁথির এসডিপিও-কে ফোন করে খুনের হুমকি! অভিযোগ দায়ের করেছেন এই পুলিশ কর্তা। জানা গিয়েছে, কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাসের কাছে শুক্রবার একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। সেখানে ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি খুনের হুমকি দেন এসডিপিওকে। শুধু তাই নয়, তাঁর পরিবারকেও ‘দেখে নেওয়ার হুমকি’ দেওয়া হয়।কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস ‘এই সময় ডিজিটাল’-কে বলেন, ‘নিয়ামুল হুদা নামক এক ব্যক্তি আমাকে ফোন করেছিল। সে আমাকে এবং আইসি কাঁথিকে খুনের হুমকি দেয়। পাশাপাশি আমার পরিবার যে বহরমপুরে থাকে সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করে সে। তাদেরও দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়।’
এই পুলিশ আধিকারিকের সংযোজন, ‘ও আমাকে বলল কেন তোর তদন্তকারী অফিসার আমাকে গ্রেফতার করল? আমি নির্দোষ। আমি দেখে নেব তোদের।’ দিবাকর দাস জানান, এই নামের কাউকে তিনি চেনেন না। ফলে ওই ব্যক্তি কোন বিষয় নিয়ে কথা বলছিল তা তিনি ঠাহর করতে পারেননি বলেই মন্তব্য এই পুলিশ কর্তার। ইতিমধ্যেই এই ফোনকলের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ।ওই নম্বরটি কার? বা তার জিওগ্রাফিক্য়াল লোকেশনই বা কী? সেই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
দিবাকর দাস ২০১৭ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার। তিনি ২০২৪ সালে কাঁথির এসডিপিও পদের দায়িত্ব নেন। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদে। লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে কমিশন তাঁকে কাঁথির এসডিপিও পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। দিবাকর দাসের পাশাপাশি সেই সময় কমিশন বদলি করেছিল ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক এবং পটাশপুর থানার ওসি রাজু কাণ্ডুকে। সেই সময় এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। আজহারউদ্দিন খানকে এসডিপিও পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু, পরে তাঁকে পুনরায় এই পদে বহাল করা হয়।
কিছুদিন আগে এই রাজ্যে এসে এক সিআইডি কর্তা এবং তাঁর পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ‘গ্যাংস্টার’ সুবোধ সিংহের বিরুদ্ধে। রানিগঞ্জের এক সোনার ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।