অর্ণব আইচ: অভিজাত আবাসন চত্বরেই গাড়ির চালকের আসনে বসে বেপরোয়া যুবক। পূর্ব কলকাতার (Kolkata) ওই নামী অভিজাত বহুতল আবাসনের বাসিন্দা ওই যুবকের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল পেশায় ইঞ্জিনিয়র, প্রৌঢ় গৃহশিক্ষকের। সম্প্রতি পঞ্চসায়র থানা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তিনি আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এই ঘটনা ঘিরে পঞ্চসায়রে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, সুদীপ্ত সেনগুপ্ত নামে ওই প্রৌঢ় সার্ভে পার্ক এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি ইঞ্জিনিয়র। তবে অবসরগ্রহণের পর তিনি গৃহশিক্ষকতা (Tuition) করতেন। থাকতেন মায়ের সঙ্গে। পঞ্চসায়র এলাকার একটি নামী বহুতল অভিজাত আবাসনে তিনি পড়াতে যেতেন। সম্প্রতি রাত আটটা নাগাদ তাঁর পড়ানো শেষ হয়। পড়িয়ে ওই আবাসন চত্ত্বরের ভিতর দিয়ে হেঁটে তিনি গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছে, তখনই আবাসনের বাসিন্দা ওই যুবক পার্ক করে রাখা গাড়ি নিয়ে বের হন। আবাসনের মধ্যে চলাফেরা করা পথচারীদের তোয়াক্কা না করেই বাড়িয়ে দেন গতি (overspeed)। প্রচণ্ড জোরে তিনি সুদীপ্ত সেনগুপ্ত নামে ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দেন। তিনি ছিটকে গিয়ে পড়েন।
ঘটনার পর ব্রেক কষতে গিয়ে ওই যুবক চালকও অল্প আহত হন। তাঁর গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাটি ঘটার পরই ওই আবাসনের বাসিন্দা ও নিরাপত্তারক্ষীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন পরের দিন তাঁর মৃত্যু (Death)হয়। পুলিশের দাবি, হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয় যে, আহত অবস্থায় চিকিৎসা চলার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যান। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পঞ্চসায়র থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জেনেছে, দুর্ঘটনার ফলে স্টিয়ারিংয়ে থাকা ওই যুবক নিজেও আহত হন। তাই তাঁকেও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সুদীপ্তবাবুর ভাই ওই যুবকের বিরুদ্ধে পঞ্চসায়র থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যুবকের বিরুদ্ধেই পুলিশ গাফিলতির কারণে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে। যদিও পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, তাঁরা ওই যুবককে গ্রেপ্তার (Arrest)করতে পারেননি। যুবক আলিপুর আদালতে আত্মসমর্পণ (Surrender) করেন। ওই গাড়িটির বিরুদ্ধে কোনও বকেয়া মামলা নেই বলেই জানা গিয়েছে। তবে ঘটনাটির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।