সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: টার্মিনাসে সারি সারি খালি বাস। কিন্তু, যাত্রী নেই। খালি বাস টার্মিনাস থেকে বেরিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার ব্যস্ত রাস্তার উপরেই যাত্রী তুলছে। একইভাবে ব্যস্ত রাস্তায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বিভিন্ন রুটের খালি বাস টার্মিনাসে ঢুকছে। ফলে যাত্রী না থাকায় টার্মিনাসের ভিতরে পুরসভার ভাড়া দেওয়া স্টল ব্যবসায়ীরা মাছি তাড়াচ্ছেন। ব্যবসা জমছে না টার্মিনাসে।
এমনই বেহাল দশা শহরের শামুকতলা রোডে আলিপুরদুয়ার পুরসভা নিয়ন্ত্রিত মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাসের। ক্রেতা না থাকায় টার্মিনাসে থাকা ১০-১২টি স্টল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কোনওরকমে পাঁচ-ছ’টি স্টল টিকে থাকলেও সেগুলিও বর্তমানে বন্ধ হওয়ার মুখে। স্টল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ক্রেতা না থাকায় ব্যবসা জমছে না। তাহলে শুধু শুধু পুরসভাকে প্রতি মাসে মোটা টাকার স্টল ভাড়া দিয়ে কী লাভ, প্রশ্ন তাঁদের।
অথচ ২০০১ সালে চালু্ হওয়ার পর পুরসভার এই বাস টার্মিনাস যাত্রীদের আনাগোনায় গমগম করত। টার্মিনাসের ভিতরে থাকা দোকানগুলিতে রমরম করে বেচাকেনা হতো। কিন্তু, এখন সেই দৃশ্য উধাও। যাত্রী না থাকায় বেচাকেনা নেই দোকানগুলিতে। এই সমস্যা কাটাতে টার্মিনাসের ব্যবসায়ীরা জেলাশাসক, পুরসভা, পুলিস সহ প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্মারকলিপি দিয়েছেন। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। আলিপুরদুয়ার মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোপাল সরকার বলেন, বাসগুলি ব্যস্ত রাস্তায় যাত্রী তোলা ও নামানোর কারণে শহরে যানজট হচ্ছে। বাসগুলি যাতে যাত্রী নিয়ে টার্মিনাসে ঢোকে, সেই দাবিতে প্রশাসনকে অতীতে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারপরও আমরা প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ দেখছি না।
সংগঠনের সম্পাদক আকাশ সাহা বলেন, আমাদের দাবি বিভিন্ন রুটের বাস যাত্রী নিয়ে শহরের শেষ স্টপ হিসেবে টার্মিনাসে আসুক। তাহলে আগের মতো টার্মিনাস জমজমাট হয়ে উঠবে। স্টল ব্যবসায়ী জীবন সাহা বলেন, ‘যাত্রী না থাকায় ব্যবসা জমছে না। তাহলে পুরসভাকে মাসে মাসে মোটা টাকার ভাড়া দিয়ে আমাদের কী লাভ। পুরসভা ও প্রশাসনের এটা দেখা উচিত।’ বাসগুলি ব্যস্ত রাস্তার উপরেই যাত্রী তোলা ও নামানোর কাজ করায় শহরে যে যানজট হচ্ছে তা মেনে নিয়েছে ট্রাফিক পুলিস। ট্রাফিক ওসি জাকারিয়া আলি বলেন, এই সমস্যা কাটাতে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সমস্যা কাটাতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, এই সমস্যা কাটাতে শীঘ্রই সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসা হবে।