সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ি পুরসভা হয়ে কী লাভ হল? প্রতিদিনের বাজার হোক কিংবা হাটে আসা লোকজনকে নাকে রুমাল দিয়ে আসতে হয়। শহিদগড় হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা দিয়ে চলতে সমস্যায় পড়তে হয়। বর্জ্যের স্তূপ কেন সরাচ্ছে না পুরসভা? ময়নাগুড়ি নতুন বাজারের কর্মতীর্থ ভবনের সামনে অলিখিত ডাম্পিং ডাম্পিং গ্রাউন্ড হয়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ লোকজনের এমনই প্রশ্ন পুরসভার কাছে। তাঁরা পুর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শুক্রবার বাজার করতে আসা ক্রেতা গোপাল বাসফোর বলেন, বাজারের যা পরিস্থিতি, তাতে দেখে মনে হয় না এটা পুরসভা। মূল রাস্তার একাংশজুড়ে বর্জ্য। জলকাদায় সেসব মাড়িয়ে চলতে হচ্ছে। পুরসভার এ ব্যাপারে নজর দেওয়া দরকার। ময়নাগুড়ি নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, কিছু ব্যবসায়ী এসব করছেন ঠিকই। তাছাড়া উপায় নেই। কারণ, বাজারের বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। পুরসভা কিংবা জেলা পরিষদ কেন আবর্জনা সরাচ্ছে না, আমরাও বুঝে উঠতে পারছি না। ময়নাগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় বলেন, বর্জ্য ফেলা নিয়ে খাগড়াবাড়ি-২ পঞ্চায়েতের সঙ্গে আমাদের মৌস্বাক্ষর হয়েছে। সেখানে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প আছে। কিন্তু সেটা ছোট। সেটি বড় করে তৈরি করা হচ্ছে। শহরের বর্জ্য সেখানে পাঠানো হবে। তাহলে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যাবে।
ময়নাগুড়ি শহরের ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝামাঝি জায়গায় রয়েছে কৃষক বাজার। অপরপাশে কর্মতীর্থ ভবন। আর দু’টি বাজারের মাঝে রয়েছে মূল রাস্তা। রাস্তার পাশ ঘেঁষে অলিখিত ডাম্পিং গ্রাউন্ড। থার্মোকলের বাক্স থেকে শুরু করে বাজারের যত বর্জ্য, সেসব এখানেই ফেলা হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর এসব করছেন বলে অভিযোগ। তবে পুরসভারও নজর নেই বলে দাবি স্থানীয়দের। শুধু দুর্গন্ধ নয়, মশা, মাছির উপদ্রবও রয়েছে এলাকায়। দ্রুত সমস্যা সমাধান চাইছেন তাঁরা।