• অন্তঃসত্ত্বা বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে ফাঁসিদেওয়ায় ধৃত বউদি
    বর্তমান | ১৩ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: অন্তঃসত্ত্বা ননদকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে বউদিকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ফাঁসিদেওয়ার শক্তিনগরে। শুক্রবারই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আক্রান্ত বধূ এখন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। এই ব্যাপারে অ্যাডিশনাল এসপি(কার্শিয়াং) অভিষেক রায় বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছি। আহত সিভিক ভলান্টিয়ারের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। 


    জখম বধূ ফাঁসিদেওয়া থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফিরে রান্না করছিলেন ওই বধূ। পাশের বাড়িতেই তার মামাতো বউদি থাকেন। বউদি ঘরে এলে  বধূ তাকে চা বানিয়ে খাওয়ান। গল্পের মাঝে হঠাত্ই ননদের থেকে টাকা চেয়ে বসেন তার বউদি। ননদ তা দিতে না চাওয়ায় বউদি কানের দূল চান। বধূ প্রতিবাদ করলে দু’জনের ধস্তাধস্তি হয়। অভিযোগ, ওরনা দিয়ে  গলায় ফাঁস লাগিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়ায় গর্ভবতী বধূ জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলেন। সেই সুযোগে বধূর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই মহিলা। আলমারি থেকে সোনার অলংকার, নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। পায়ে আগুন লাগতেই হুঁশ ফেরে বধূর। সে নিজেই কোনওভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। 


    বধূর জা বলেন, আমার জাঁয়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। কোনওক্রমে আগুন নিভিয়ে বাড়ির বাইরে এসে ও প্রতিবেশিদের সাহায্য চায়। আমরা রাতেই ওকে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখন সে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমার জাঁ সাতমাসের অন্তঃসত্ত্বা। একজন মহিলা হয়ে আরএক মহিলার সঙ্গে এমন ঘটনা করল, তা মানা যায় না।  


    রাতেই বধূর বাড়ির লোকজন ফাঁসিদেওয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।  শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এদিন ধৃতকে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। 


    জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ধৃত মহিলাকে পুলিস হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। ধৃত মহিলার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা, চুরি মত একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ার আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। 
  • Link to this news (বর্তমান)