সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: ক্লাস চলাকালীন সহপাঠীর সঙ্গে ঝগড়া। তারপরেই মাথায় পেন দিয়ে আঘাত করে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। আক্রান্ত পড়ুয়ার পরিবারের দাবি, মাথায় ঢুকে রয়েছে রিফিলের সামনের অংশ। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করে অভিভাবকরা স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শুক্রবার। তাঁদের দাবি, দায়সারাভাবে আক্রান্তকে বাড়ি পাঠিয়ে চিকিৎসা করিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন শিক্ষকরা। এদিনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় হেমতাবাদ ব্লকের মহিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমতাবাদের মহিপুর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। বৃহস্পতিবার দুপুরে অঙ্ক ক্লাস চলাকালীন এক সহপাঠী হাবিবুরের ছেলের মাথায় কলম দিয়ে আঘাত করে। তাঁর দাবি, রিফিলের ডগা ভেঙে ছেলের মাথায় ঢুকে গিয়েছে। এই ঘটনার পর শিক্ষকরা বিষয়টি তাঁদের জানাননি। বাড়ি ফিরে শুক্রবার শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। শুক্রবার গাফিলতির অভিযোগ করে বিদ্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান হাবিবুর ও অন্য অভিভাবকরা।
হাবিবুরের অভিযোগ, আমার ছেলেকে সহপাঠী মাথায় পেন দিয়ে আঘাত করেছে। ছেলে আক্রান্ত হওয়ার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চিকিৎসার ব্যবস্থা পর্যন্ত করেননি। বাড়িতেও জানানোর প্রয়োজন মনে হয়নি তাঁদের। পেনের রিফিলের সামনের অংশ ভেঙে ছেলের মাথায় ঢুকে আছে। নার্সিংহোমে তার চিকিৎসা করাচ্ছি। সরকারি বিদ্যালয়ে এমন গাফিলতি মেনে নেওয়া যায় না। সেই সময় ক্লাসে দিদিমণি থাকলেও আমার ছেলের এই হাল হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল বলেন, বিদ্যালয়ে আক্রান্ত পড়ুয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে এতকিছু হবে বুঝতে পারিনি। এরপর আমরা আরও সতর্ক থাকব।
হেমতাবাদের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক জয়ী দেবনাথ জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে তাঁকে কিছু জানাননি। বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখছি। গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।