নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লোকসভা ভোটের সাফল্যের রেশ বজায় থাকবে আজ, শনিবার উপ নির্বাচনের ফলাফলে। তাতে হারানো জমি যেমন উদ্ধার হবে। তেমনই বাড়বে বিধায়ক সংখ্যা। আশায় জোড়াফুল শিবির। উপ নির্বাচন হলেও আর পাঁচটা ভোটের মতোই গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাউন্টিং সেন্টারে হাজির থাকার নির্দেশ ভোট ম্যানেজারদের কাছে গিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। যেখানে বলে দেওয়া হয়েছে, কোনও প্রলোভন, হুমকির কাছে মাথা নত নয়।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ২০১৯ সালে তৃণমূল জিতেছিল ২২টি লোকসভা আসন। স্বাভাবিকভাবে তৃণমূলের আসন জয়ের সংখ্যা বেড়েছে। দলের এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা থাকবে বলে আশাবাদী জোড়াফুল শিবিরের নেতারা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, লোকসভার ভোট পর্ব মেটার ঠিক এক মাস পরেই উপ নির্বাচন হয়েছে রাজ্যের চার বিধানসভা আসনে। ফলে বাংলার মানুষ যেভাবে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের উপর আস্থা রেখেছিলেন, সেটাই বজায় থাকবে আজকের ফলাফলেও।
মানিকতলা আসন তৃণমূলের আগে থেকেই দখলে ছিল। এবারও মানিকতলা এলাকায় জোড়াফুল ফুটবে এবং তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পান্ডে হাজার দশেকের বেশি ভোটে জিতবেন বলে আশা শাসক দলের নেতাদের। অন্যদিকে বাগদা একটা সময় তৃণমূলের দখলে ছিল। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে উপেন বিশ্বাস তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন। ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছিল এই আসন। হারানো জমি এবারের উপ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে উদ্ধার হবে বলে প্রত্যয়ী সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়। প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর বেশ কয়েক হাজার ভোটে জিতবেন, এমনটাই তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট। একই অবস্থা রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রেও। ২০১১ সালে তৃণমূল এই কেন্দ্রে জিতেছিল। ২০১৬, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল জিততে পারেনি। এবার মুকুটমণি অধিকারীকে জেতাতে তৃণমূলের কর্মীরা উপ নির্বাচনের কোমর বেঁধে নেমেছিলেন। রায়গঞ্জ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনেরও ফল প্রকাশ হবে আজ। কিন্তু এই কেন্দ্রে ১৯৫১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত জোড়াফুল ফোটেনি। ফলে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর কাছেও চ্যালেঞ্জ, ভালো ফল করে দেখানো।