• মিটারে চিপ দিয়ে অভিনব কায়দায় বিদ্যুৎ চুরি, হাতেনাতে পাকড়াও বণ্টন সংস্থার
    বর্তমান | ১৩ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: মিটারের মধ্যে চিপ ঢুকিয়ে অভিনব কায়দায় বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ উঠল। মিটারের ‘রিডিং’ নিতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদের। একটি বাড়িতে নয়, পরপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে এই কায়দা নজরে আসে। বিষয়টি তখনই ‘রিডিং’ নিতে আসা কর্মীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বারাকপুরের তালপুকুর এলাকায়। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এই কাজে জড়িত অভিযোগে চারটি বাড়ির পাঁচজনকে চিহ্নিত করেছে। তাঁদের নামে টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই বাড়িগুলির মিটার বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগও কেটে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


    বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মিটারে বিশেষ ধরনের চিপ ব্যবহার করে কারচুপি চলছিল। চিপ ঢুকিয়ে দেওয়ার ফলে মিটারের রিডিং বাড়ত না। যেখানে ১০০ টাকা বিল আসার কথা, সেখানে এই কারচুপির কারণে বিল আসত ১০ টাকার! দিনের পর দিন এই কারবার চলছিল রমরমিয়ে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মকর্তারা সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরই পাঁচজনের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন মহম্মদ শাহিদ, মহম্মদ মোস্তফা, পবন সাউ ও প্রদীপ সাউ এবং মনোজ কুমার শর্মা। মহম্মদ শাহিদের বিরুদ্ধে ৯ জুলাই টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকা। একই দিনে মহম্মদ মোস্তাফার বিরুদ্ধে এফআইআর এবং ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৩১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার আগের দিন অভিযোগ দায়ের করা হয় দুই ভাই পবন সাউ ও প্রদীপ সাউয়ের বিরুদ্ধে। তাদের জরিমানা করা হয়েছে ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ৩৮ টাকা। আর মনোজ শর্মাকে এই কারচুপির জন্য ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৪১৯ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার সিদ্ধেশ্বর দাস বলেন, ‘বারাকপুরের তালপুকুর এলাকায় দিনের পর দিন অভিনব কায়দায় বিদ্যুৎ চুরি চলছিল।  আমরা হাতেনাতে ধরে ফেলেছি। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। আমাদের এই অভিযান চলবে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)