মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের লিচুবাগান জবরদখল, সরে যাওয়ার নির্দেশ পঞ্চায়েতে
বর্তমান | ১৩ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: পঞ্চায়েতে বিজেপি, সিপিএম আর নির্দলের মিলিজুলি বোর্ড যখন ছিল, তখন লিচু বাগান জবরদখল হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এবার সেই জায়গা দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হল বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। সম্প্রতি নবদ্বীপের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতে সাধারণ সভা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যারা জবরদখল করে বসবাস করছে এবং অবৈধভাবে মালপত্র রেখে ব্যবসা করছে, তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। জবরদখলকারীদের সরে যাওয়ার জন্য এক মাস সময় দিয়ে নোটিস পাঠানো হবে। তার মধ্যে জবরদখল সরিয়ে নিতে হবে। যদি কেউ স্বেচ্ছায় সরে না যায় তাহলে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নবদ্বীপের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েত অফিস থেকে ১০০মিটার দূরেই শিমুলগাছিতে প্রায় ৩২বিঘা জায়গাজুড়ে লিচুবাগানটি রয়েছে। প্রতিবছর মুকুল ধরার পর পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামবাসীদের জানিয়ে টেন্ডার ডাকা হয়। যিনি টেন্ডারে মূল্য বেশি দেন, তাঁকেই এই লিচু বাগান লিজে দেওয়া হয়।
এতে পঞ্চায়েতের আয়বৃদ্ধি হয়। অথচ এই বাগানের ভিতরেই বেশকিছু মানুষ জবরদখল করে বসবাস করছে বলে অভিযোগ। একশ্রেণির ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পঞ্চায়েতের জায়গায় বালি, পাথর, কাঠ রেখে ব্যবসা করছে। তৃণমূল বোর্ড ক্ষমতায় আসার পরে তাদের ওই জায়গা খালি করার জন্য বহুবার বলা হয়েছে। কিন্তু, এতদিন জবরদখলকারীদের কোনও হেলদোল দেখা যায়নি।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লিচুবাগানের চারিদিক আগামী দিনে প্রাচীর দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এমনকী বাগানের সামনের দিকে দোকান তৈরি করে কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও বাগানের খালি অংশে একটি পিকনিক স্পট করার চিন্তাভাবনাও করছে পঞ্চায়েত। তাই সভায় জবরদখল সরানোর বিষয়টি ঠিক হয়েছে।
মাজদিয়া-পানশিলার পঞ্চায়েতের শিল্প পরিকাঠামো সঞ্চালক মিঠুন ঘোষ বলেন, বিগত দিনে এই পঞ্চায়েত ছিল বিরোধী মিলিজুলি বোর্ডের। সেই সময় থেকেই পঞ্চায়েত থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে থাকা বাগানে জবরদখল শুরু হয়। কেউ টিনের ঘর, কেউ বা পাটকাঠির ঘর বানিয়ে থাকছে। অথচ তাদের নিজস্ব জায়গা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাহিদুল শেখ বলেন, বিগত বোর্ড থাকাকালীন এই জায়গা জবরদখল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো বাগানের জায়গাটি জবরদখল মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিডিওকে জানানো হয়েছে। মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য কমল সরকার বলেন, আমরাও চাই যেখানে সরকারি জায়গা জবরদখল হয়ে আছে, তা মুক্ত করা হোক।