নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর ও সংবাদদাতা, ঘাটাল: সব্জির বাজারে হানা অব্যাহত পুলিস-প্রশাসনের। বুধবারও মেদিনীপুর শহর সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে হানা দেয় পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। কেউ যাতে অতিরিক্ত দাম না নেয়, তার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এদিকে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে জেলায় আরও সুফল বাংলার স্টল খোলার কথা জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি।
শুক্রবার মেদিনীপুর শহরের রাজাবাজারে অভিযান চালান মেদিনীপুরের মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখোপাধ্যায়। এছাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান ও অন্যান্য পুর আধিকারিকরা ছিলেন। বাজারে খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে কথা বলেন এসডিও। অনেক ক্ষেত্রেই গরমিল ধরা পড়ে। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন তিনি। এদিনই ঘাটাল শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রগতি বাজার ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুঠি বাজার ঘুরে অভিযান চালান ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। শহরের পাইকারি বাজারেও অভিযান চালান প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। তাঁরা পাইকারি ও খুচরো দামের পার্থক্য যাচাই করেন।
মহকুমা শাসক বলেন, শহরের দু’টি খুচরো বাজারের বিভিন্ন সামগ্রীর দামের মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে। সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। চলতি বাজার মূল্যের থেকে বেশি দাম যেন কেউ না রাখে। ওজনযন্ত্র যেন নিয়মিত রিন্যুয়াল করে। ওজন যন্ত্রের সার্টিফিকেট যেন দোকানের সামনে ডিসপ্লে করা থাকে। কিছু অবৈধ ওজনযন্ত্র আটক করা হয়েছে, যেগুলির রিন্যুয়াল করা ছিল না।
এদিকে সব্জির দাম থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে সেই লক্ষ্যে জেলায় আরও একাধিক সুফল বাংলার স্টল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলাশাসক। জেলায় তিনটি স্টল রয়েছে। প্রশাসনের দাবি, খুচরো বাজারের সুফল বাংলার স্টলে অন্তত ১০-১৫ শতাংশ কম মূল্যে সব্জি পাওয়া যায়। যদিও জেলায় সুফল বাংলার স্টল কম থাকায় তার বিশেষ সুফল পান না জেলাবাসী। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে শীঘ্রই জেলার একাধিক জায়গায় সুফল বাংলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।