• অ্যাম্বুল্যান্স–লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে রক্তাক্ত রাজপথ, কেশপুরে পাঁচজনের মৃত্যু
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ জুলাই ২০২৪
  • মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একসঙ্গে পাঁচজনের মৃত্যু হল। আর তার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অ্যাম্বুলেন্সটি ঘাটাল থেকে রোগী নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যাচ্ছিল। তখন কেশপুরের পঞ্চমীর কাছে সিমেন্ট বোঝাই একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। এই পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের তড়িঘড়ি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই এখন তাঁরা চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পরই হাসপাতালে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন কেশপুর থানার অফিসাররা।

    এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ঠিক রাত ১২টা নাগাদ এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মেদিনীপুর সিমেন্ট বোঝাই লরিটি কেশপুরের দিকে যাচ্ছিল। আর তখন ঘাটাল থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স রোগী নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আসছিল। এমন সময়ে পঞ্চমীর বড় পোলের কাছে লরি–অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থলেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। আর এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা যাত্রীদের বেশির ভাগই নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাও অনেক। কেমন করে এই পথ দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


    এই পথ দুর্ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, রাতে লরির গতি তীব্র্র ছিল এবং অ্যাম্বুলেন্সও রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে তাড়াহুড়ো করে। তার জেরেই লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা মারে। আর এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটে। এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‌একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি রাতে কেশপুরের দিকে যাচ্ছিল। তখন কেশপুরের দিক থেকে যে অ্যাম্বুল্যান্স আসছিল সেটি মেদিনীপুরের দিকে যাচ্ছিল। এমন সময়ই পথ দুর্ঘটনা ঘটে। আর পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সকলেই চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই এলাকার বাসিন্দা।’‌

    এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একসঙ্গে পাঁচজনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই ঘটনা নিয়ে এখন এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পরিবারগুলি থেকে শুধুই শোনা যাচ্ছে কান্নার হাহাকার। এই বিষয়টি নিযে স্থানীয় নেত্রী তথা অঞ্চল প্রধান মর্ফিয়া বিবির বক্তব্য, ‘‌গতকাল রাত ১২টা নাগাদ পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসি। অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে ৯ জন ছিলেন। তার মধ্যে একসঙ্গে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আমি প্রধান হিসেবে খবর পেয়ে এলাকায় এসেছি। এই পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে চালকের গাফিলতি ছিল। প্রধান হিসেবে এই এলাকায় আরও আলোর ব্যবস্থা করে দেব।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)