চম্পক দত্ত: কেশপুরে ভয়ংকর পথদুর্ঘটনা। ঘাটাল থেকে রোগী নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আসছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স। সেই সময় কেশপুরের পঞ্চমীর কাছে লরির সঙ্গে সংঘর্ষ। ঘটনায় মৃত ৫, গুরুতর আহত বেশ কয়েকজন।
জানা গিয়েছে, একটি লরি মেদিনীপুরের দিক থেকে কেশপুরের দিকে যাচ্ছিল। অন্য দিকে ঘাটাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স রোগী নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসছিল। সেই সময় পঞ্চমীর কাছে বড় পোলের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা যাত্রীদের বেশির ভাগ আহত এবং নিহত হয়েছে। পুলিস জানিয়েছেন , একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি কেশপুরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় কেশপুরের দিক থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সটি মেদিনীপুরের দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত আরও ৩ জন।
আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা চন্দ্রকোনা ক্ষীরপাই এলাকার বাসিন্দা। কয়েকদিন আগেই পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখান থেকে তাদের পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে কেশপুর থানার পুলিস যায় ঘটনাস্থলে। পাশাপাশি কোতোয়ালি থানার পুলিস পৌঁছায় হাসপাতালে।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুমিত জানা এবং শাশুড়ি ইরা মান্নার, যাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫১ বছর ও ৬৫ বছর। গুরুতর আহত হন সুমিত বাবুর স্ত্রী রামানিয়া জানা (৪২ বছর), ছেলে সুরজিৎ জানা (১৯ বছর) ও ছোট ছেলে সৌরদীপ জানা (১২ বছর)।
এদিকে এই ঘটনার জেরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে লরি চালক মদ্যপ ছিলেন কি না, সেই দিকটিও দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বেহালার ১৬৩ নম্বর বনমালী ঘোষাল লেন থেকে রবিবার ভোররাতে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে তারাপীঠের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুমিত কুমার জানা। কিন্তু সেই তীর্থযাত্রাই কাল হল জানা পরিবারের। পুজো দিয়ে ফেরার সময় দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়েতে হুগলি গুড়াপের বশিপুর এলাকায় একটি দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে সজরে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চার চাকার গাড়িটি লরির তলায় ঢুকে যায়। নিমেষে দুমড়ে মুচড়ে যায় চার চাকা গাড়িটি।