• ৩ বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও বার্ধক্য ভাতার সুবিধা! ধৃত গড়বেতার গোরা
    এই সময় | ১৩ জুলাই ২০২৪
  • 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-প্রকল্পের টাকা ঢুকছে পুরুষের অ্যাকাউন্টে! মাসে মাসে সেই টাকা অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যাঙ্ক থেকে তুলেও নিয়েছে। ঘটনাটি গড়বেতা-৩ ব্লকের সাতবাঁকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তুঁতবাড়ি এলাকার। এমনকী ৬০ পেরনোর আগে বার্ধক্যভাতারও টাকা পেয়েছে ওই ব্যক্তি। টানা ৩ বছর চলেছে এই কাণ্ড। অবশেষে অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্ত চালান বিডিও। অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় বিডিও অফিস-পঞ্চায়েত মিলিয়ে ৮ কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, এই গ্রামের বাসিন্দা ভারতী পাল (৭০) বার্ধক্য ভাতার আবেদন করলেও তাঁর অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা পড়েনি। এরপরেই তদন্তে উঠে আসে, তাঁর বার্ধক্যভাতা ঢুকছে একই ব্লকের বাসিন্দা গোরাচাঁদ কুণ্ডু নামক এক ব্যক্তির অ্য়াকাউন্টে। বিডিওর কাছে এই প্রসঙ্গে লিখিত অভিযোগ জানান বৃদ্ধা। জানা যায়, শুধু ওই বৃদ্ধার বার্ধক্যভাতা নয়, সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং পিএম কিষানের টাকাও। একই সঙ্গে কোনওভাবেই এক উপভোক্তা বার্ধক্য়ভাতা এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নিয়ম অনুযায়ী পেতেই পারেন না। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তি দুটির একটিও পাওয়ার জন্য যোগ্য নয়।

    একজন পুরুষ কী ভাবে মহিলাদের জন্য চালু হওয়া প্রকল্পের লাভ পেতে পারেন? তা নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। পরে গ্রেপ্তার করা হয় গোরাচাঁদকে। গোটা ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি। সমস্ত সরকারি প্রকল্পগুলির টাকা উপযুক্ত উপভোক্তাদের হাতে যাচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই ঘটনায় গড়বেতা-৩ নম্বর ব্লকের বিডিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যের থেকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল জেলাশাসকের পক্ষ থেকে।

    এদিকে গোরাচাঁদের পরিবারের দাবি, তিনি কোনও কারচুপি করেননি। নিজে থেকেই তাঁর অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে কেন তিনি বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন না! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন বিষয়টি নজরে এল না সরকারি কর্মীদের? এই প্রশ্নগুলি উঠছে। ঘটনায় মোট আটজন সরকারি কর্মীকে শো কজ করেন বিডিও। গড়বেতার বিডিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যর সঙ্গে এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এই নিয়ে তদন্ত যে চলছে তা তিনি মেনে নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলছেন, ‘অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গেই তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এরকম ঘটনা একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।’
  • Link to this news (এই সময়)