• ফের ছেলেধরা 'গুজব', পুলিশের উপরেও হামলা, উত্তেজনা আসানসোলে
    এই সময় | ১৩ জুলাই ২০২৪
  • ফের ছেলেধরা 'গুজব'। এবার ঘটনাস্থল আসানসোল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের উপরেও উত্তেজিত জনতা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আহত হয়েছেন এক সিভিক ভল্যান্টিয়ার। পুলিশের গাড়িতেও হামলা চালান হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। হাতে আসা বিভিন্ন ভিডিয়ো খতিয়ে দেখে মূল হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ৯টা নাগাদ আসানসোল উত্তর থানার ব্লু ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ভানোড়া খোলামুখ কয়লাখনি এলাকায় 'ছেলেধরা' ঢুকেছে বলে গুজব ছড়ায়। চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। এদিকে খবর যায় পুলিশের কাছেও। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেই সময়ই পুলিশের উপরে হামলা চলান হয় বলে অভিযোগ। হামলা চালান হয় পুলিশের গাড়িতেও। হামলায় আহত হন ওই সিভিক ভল্যান্টিয়ার। পুলিশের কয়েকটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ডিসি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

    এই বিষয়ে ডিসি (সেন্ট্রাল) বলেন, 'শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ একটি বিক্ষোভ চলছে বলে জানতে পারে পুলিশ। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের উপরে হামলা চালান হয়। তাতে একজন সিভিক ভল্যান্টিয়ার আহত হন। আরও কয়েকজনের অল্প আঘাত লাগে। পুলিশের কয়েকটি গড়িও হালকা ড্যামেজ হয়েছে। কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে এসেছে। সেগুলি দেখে মূল হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।'

    এদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলর উৎপল সিংহ বলেন, 'ছেলেধরা গ্রামে এসেছে, রাত ৯টা নাগাদ এই ধরনের গুজব রটে যায়। আশেপাশে চার-পাঁচটা আদিবাসী গ্রাম রয়েছে। পুলিশ পৌঁছতেই তারা ঘাবড়ে যায়। নিজেদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিক্ষোভ শুরু হয়। তরপরেই শুরু হয় বচসা ও বাকবিতণ্ডা। যা হয়েছে ভুল তা বোঝাবুঝির ফলেই হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।'

    উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবারও পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে। মারমুখী জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। রীতিমতো ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুরও করা হয় পুলিশের গাড়ি। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই শিক্ষককেও।
  • Link to this news (এই সময়)