• তৃণমূল কাউন্সিলরকে এলাকা ছাড়া করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা, কেন?‌ ...
    আজকাল | ১৩ জুলাই ২০২৪
  • ‌আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ গায়ের জোরে একটি সরকারি জমি দখল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে বহরমপুর পুরসভার সুভাষ কলোনি এলাকায়। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়ে দলবল নিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বহরমপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ কলোনী–ঘোষপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রায় দু‘‌কাঠা ফাঁকা সরকারি জায়গা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ফাঁকা জায়গায় প্রতিবছর দুর্গাপুজো, কালীপুজো ছাড়াও একাধিক ছোটখাটো অনুষ্ঠান করেন। পাশাপাশি ওই জায়গাতেই এলাকার কচিকাঁচারা খেলাধুলা করে। 

    অভিযোগ উঠেছে, শনিবার সকালে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর দেবাশিস (সোনু) গোয়ালা কয়েকজন লোককে নিয়ে ওই ফাঁকা জায়গাটি ঘিরতে যান। কিন্তু স্থানীয় লোকেদের বাধার মুখে পড়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন ওই কাউন্সিলর। 

    অশোক খান নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‌ওই সরকারি ফাঁকা জায়গাটি প্রায় ৬০–৭০ বছর ধরে রয়েছে। ঘোষপাড়া মন্দির কমিটি ওই ফাঁকা জায়গাটিয় গত ৭ বছর ধরে একটি মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো করে। ওই পুজো ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের অনুমোদনও পেয়েছে। এর পাশাপাশি কালীপুজো এবং একাধিক অনুষ্ঠান ওই ছোট্ট মাঠটিতে হয়। এলাকার বাচ্চারাও ওই মাঠে খেলা করে। আজ সকালে হঠাৎই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সোনু গোয়ালা কিছু লোকজন নিয়ে ওই জায়গাটি ঘেরার জন্য আসেন।’‌ 

    রিঙ্কি প্রামাণিক নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, ‘‌ফাঁকা জায়গাটিতে গত কয়েকদিন ধরে একটি মন্দির তৈরি করা শুরু হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল কাউন্সিলর সেই কাজে বাধা দিচ্ছেন। আমরা শুনেছি তিনি এখানে দলের একটি অফিস তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন। সেই কথা তাঁকে বলতেই কাউন্সিলর আমাদের জানান এখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র হবে। অথচ এই এলাকা থেকে কয়েকশো মিটার দূরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বটতলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে।’‌ 

    তিনি বলেন, ‘‌তৃণমূল কাউন্সিলর সরকারি জায়গা ঘেরার চেষ্টা শুরু করতেই আমরা তাঁকে বাধা দিয়েছি। এরপর তিনি আমাদের হুমকি দিয়ে গেছেন ওই ফাঁকা জায়গায় কিছুই করতে দেবেন না।’‌ 

    নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস গোয়ালা। তিনি বলেন, ‘‌ওই এলাকার কিছু বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জায়গাটি দখল করে রেখেছে এবং সেখানে গ্যারেজ তৈরি করে ভাড়া নিচ্ছেন। সম্প্রতি ওই জায়গাটিতে একটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে জানতে পেরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম।’‌ 

    বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি জানান, ‘‌মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশের পর বহরমপুর পুরসভা এলাকায় কোথায় কত সরকারি জমি রয়েছে এবং কোন জমি দখল হয়ে রয়েছে তার একটি তথ্যভিত্তিক ম্যাপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজের সার্ভে করার জন্য কাউন্সিলর আজ সকালে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে কিছু ব্যক্তি অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’‌ 
  • Link to this news (আজকাল)