যেহেতু মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের নাম ডার্বি ম্যাচে জড়িয়ে আছে, তবুও সমর্থকরা মাঠে যাওয়ার জন্য অবশ্যই চেষ্টা করবেন৷ এককথায় বলা যায়, এই ম্যাচটা জুনিয়র ডার্বি ম্যাচ৷ অতীতে দেখা গিয়েছে, এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে সারা কলকাতা উত্তাপের জ্বরে কাঁপতে৷ তার লেশমাত্রও নেই এবারে৷ এমনকি আইএফএ’র অফিসে টিকিট তোলার ক্ষেত্রেও তেমন কোনও আগ্রহ নেই ক্লাবগুলিতে৷ তবুও তো ডার্বি ম্যাচ৷ এবারে যতই বলা হোক না কেন শতবর্ষ ডার্বি ম্যাচ, একথাটা সম্পূর্ণভাবে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না৷ কারণ, ১৯২৫ সালের ২৮ মে প্রথম ডার্বি ম্যাচে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয়েছিল৷ সেই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল জয়ের হাসি হেসেছিল৷ নেপাল চক্রবর্তীর গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল জয়ের মুখ দেখেছিল৷ সেই নেপাল চক্রবর্তীর পরিবারের আপনজনদের শনিবার মাঠে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত৷ মাঠে আসবেন তাঁরা৷
যতই বলা হোক না কেন, মেগা হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচ৷ সেই অর্থে ডার্বি ম্যাচ হলেও মেগা বা হাইভোল্টেজ নয়৷ তরুণ ব্রিগেডরা অবশ্যই লড়াই করবেন৷ আসলে তাঁরা সেরা ফুটবল উপহার দিয়ে মূল সিনিয়র দলে জায়গা পাওয়ার স্বপ্ন দেখার চেষ্টা করবেন৷ এই খেলার পরে যদি তরুণদের মধ্যে কেউ সিনিয়র দলে জায়গা পেয়ে যান, তাহলে সেটাই হলে বড় প্রাপ্তি৷ যেমন আইএসএল বা আইলিগ ফুটবলে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপভোগ করা যায়, সেই খেলার মেজাজটা এবারে ডার্বি ম্যাচে দেখতে পাওয়া যাবে না৷ আবার সামনে ডুরান্ড কাপ ফুটবলে দুই দলেই তারকা ফুটবলাররা খেলবেন৷ তখন খেলার চেহারাও বদলে যাবে৷ সব মিলিয়ে বলতে দ্বিধা নেই, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে এই ডার্বি ম্যাচ হতে চলেছে, সেখানে স্টেডিয়ামে কত দর্শক উপস্থিত থাকবেন, সেটাই দেখার বিষয়৷ বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে খেলা শুরু হবে৷ এই খেলার জন্য কোনও অতিরিক্ত বাস দেওয়া হচ্ছে না৷
ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান শুক্রবার অনুশীলন করেছে৷ সেই অনুশীলনের সময়ও সমর্থকদের খুব একটা দেখা পাওয়া যায়নি৷ এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল ভালো ছন্দে রয়েছে৷ তারা দুটো ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে৷ প্রথমে টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে এবং পরে জর্জ টেলিগ্রাফকে হারিয়েছে৷ সেই কারণেই দলের কোচ আশা করছেন, প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে তরুণ প্রতিভারা দুরন্ত ফুটবল উপহার দেবেন৷ মোহনবাগান বড় আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামতে পারবে না৷ কারণ তারা দুটো ম্যাচেই পয়েন্ট নষ্ট করেছে৷ প্রথম ম্যাচে ভবানীপুরের সঙ্গে গোলশূন্য অবস্থায় খেলা শেষ করে আর দ্বিতীয় ম্যাচে রেনবো ক্লাবের সঙ্গে এগিয়ে থেকেও ২-২ গোলে খেলা শেষ করে মাঠ ছাড়ে৷ তবে, দলের কোচ মনে করছেন, ডার্বি ম্যাচ বলতেই মর্যাদার লড়াই৷ সেই লড়াইয়ে জেতার জন্য অবশ্যই সবুজ মেরুন শিবিরের খেলোয়াড়রা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন৷