জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: পারিবারিক বিবাদের জেরে ধরনা থেকে ভোটের লড়াইয়ে। প্রথমবার ময়দানে নেমেই ছক্কা হাঁকালেন ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা। রাজ্য বিধানসভার কনিষ্ঠতম বিধায়ক হবেন সদ্য জয়ী এই প্রার্থী।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা মানেই মতুয়াগড়। গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। পরবর্তীতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এই উপনির্বাচন। গত বিধানসভাই শুধু নয়, শেষ লোকসভা নির্বাচনেও বাগদায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। ব্যবধান ছিল ২০ হাজারের বেশি ভোট। তাই পিছিয়ে পড়া এই আসন নিজেদের দখলে নেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ ছিল শাসকদলের কাছে। সেই কারণেই প্রার্থী নির্বাচনে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। বেছে নেওয়া হয় ঠাকুর পরিবারের সদস্য তথা রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণাকে। রাজনীতিতে একেবারে নতুন মধুপর্ণা ময়দানে নেমেই পিছনে ফেলেদিল বিজেপিকে। এদিন গণনার শুরু থেকেই বাগদায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল। ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে ব্যবধান দাঁড়ায় ১৪ হাজারের বেশি। পরবর্তীতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ব্যবধান। অবশেষে ৩৩ হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থী বিনয়কুমার বিশ্বাসকে হারিয়ে জয়ী মধুপর্ণা।
জয়ী ঘোষণা হতেই সবুজ আবিরে মেতেছেন নেতা-কর্মীরা। এলাকার মানুষেরা ভরসা করেছেন, এতেই খুশি সদ্য জয়ী মধুপর্ণা। বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী এদিন বলেন, “মানুষ এটা বুঝেছে যে, আমরা অন্যায় দুর্নীতির পক্ষে নই। তাই মানুষ আমাদের বেছে নিয়েছে। মানুষের কাছে গোটা চিত্রটা স্পষ্ট।” তবে একমাস আগে এই আসনেই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, “কিছু সমস্যা তো ছিলই। অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে আমরা সেটাতে কাটিয়ে উঠেছি। মানুষ আমাদের পাশে রয়েছে।”