• ট্রেনের চাকায় হাত-পা কাটা বৃদ্ধের GRP-র 'গাফিলতি'-তে মৃত্যুর অভিযোগ
    এই সময় | ১৩ জুলাই ২০২৪
  • জিআরপি তথা রেলের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ। প্ল্যাটফর্মের পাশে ঘণ্টাখানেক পড়ে থাকলেন হাত-পা কাটা বৃদ্ধ। অভিযোগ, রক্তক্ষরণ ও জলের অভাবে জিআরপি-র সামনেই ছটপট করতে করতে প্রাণ গেল তাঁর। মৃত্যুর পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশনে।জানা গিয়েছে, ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন ওই বৃদ্ধ। তাঁর একটা হাত ও একটা পা কাটা যায়। অভিযোগ, তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ঘণ্টাখানেক প্ল্যাটফর্মে ধারেই ফেলে রাখে রেল পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে অজ্ঞাত পরিচয় ওই বৃদ্ধ ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে অসাবধানতায় পড়ে যান। রেলের চাকায় হাত এবং পা কাটা যায় তাঁর। কিন্তু বৃদ্ধকে ঘণ্টাখানেক প্লাটফর্মে রোদের মধ্যেই শুইয়ে রাখে রেল পুলিশ। হাসপাতাল পাঠানো তো দূর, ওই ব্যক্তি বারবার জল খেতে চাইলেও তাঁকে তাও দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। এমনকি যাত্রীরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসলেও তাদেরকেও লাঠি উঠিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কার্যত চিকিৎসার অভাবেই ওই বৃদ্ধ হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ছটফট করতে করতে মারা যান। অভিযোগ, খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যম পৌঁছলে তাদেরকেও রেল পুলিশের হুমকির মুখে পড়তে হয়। সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ।

    এক সময় স্টেশনেই ছটফট করতে করতে মারা যান ওই বৃদ্ধ। এরপরে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধকে আগে আনলে হয়ত বাঁচানো সম্ভব হত। রেল পুলিশের গাফিলতির জন্যই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভেন্দু ভক্ত বলেন, 'ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসে জিআরপিএফ। আগে আনলে হয়ত তাঁর চিকিৎসা করা সম্ভব হত। হয়তো তিনি বেঁচেও যেতে পারতেন।' এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাজুড়ে। তবে অমানবিকতার অভিযোগ উঠলেও ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    এদিকে এই বিষয়ে মালদা জিআরপি থানার আইসি প্রশান্ত রায় বলেন, 'জিআরপি সাহায্য করেনি এটা সঠিক নয়। আমাদের গাড়ি ছিল না। যার ফলে একটু দেরি হচ্ছিল। পরে জিআরপি ও আরপিএফ অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মৃত্যু ঘটে।'
  • Link to this news (এই সময়)