'আরও বেশি করে মানুষের পাশে থাকতে হবে', জয়ের পর উচ্ছ্বসিত মমতা
এই সময় | ১৩ জুলাই ২০২৪
রাজ্যের চার কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়জয়কার। চারটিতেই জয়ী সবুজ শিবির। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের ব্যাপক সাফল্যের পর উপনির্বাচনেও একই ধারা অব্যাহত। শনিবার মুম্বই থেকে আম্বানিদের বিয়েতে যোগ দিয়ে ফিরেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দমদম বিমানবন্দরে নেমেই দেশ তথা রাজ্যের উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন তিনি। ‘অল ইন্ডিয়ার ট্রেন্ডও বিজেপির বিরুদ্ধে’, বলেন মমতা।শনিবার রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্র- মানিকতলা, রায়গঞ্জ, বাগদা এবং রানাঘাট দক্ষিণে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের প্রার্থীরা। এই জয় প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, 'একুশের নির্বাচনে বিজেপি যে তিনটি আসনে জয়ী হয়েছিল সেগুলিতেও মানুষ আমাদের জয়ী করেছে। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই জয় মা-মাটি-মানুষের। অপপ্রচার এবং কুৎসার জবাব দিয়েছেন মানুষ।' এই জয় ২১ জুলাইয়ের শহিদদের উৎসর্গ করা হবে বলে জানান মমতা।
সাতটি রাজ্যের ১৩টি বিধানসভায় উপনির্বাচনের মধ্যে ১০টিতে জয়ী হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। মাত্র দু'টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই ফলাফল প্রসঙ্গে উল্লেখ করে ফের একবার বিজেপিকে বিঁধেন মমতা। শুধু তাই নয়, 'এজেন্সি রাজনীতি' প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'একদিকে এজেন্সি, একদিকে বিজেপি। সবটাই রুখে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। আমাদের কাজ সমাজসেবা করে। এর থেকে কেউ সরে আসলে তাঁকে বলব তিনি নিজেরটা বুঝে নিন। আমাদের মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে, তাঁদের পাশে থাকতে হবে। সারা ভারতবর্ষেও আমি শুনেছি বিজেপি পর্যদুস্ত হয়েছে।' দলের সামাজিক দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল, জানান তৃণমূল সুপ্রিমো।
অন্যদিকে, দুটি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে অর্থাৎ মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে গেরুয়া শিবির জিতেছে। যদিও সেখানে নির্বাচন কী ভাবে হয়েছে তা নিয়ে আলাদা করে কোনও বাক্য ব্যয় না করলেও শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকা রাজ্যেই বিজেপি জয়ী হয়েছে, সেই বিষয়টির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি মুম্বই গিয়ে উদ্ধব ঠাকরে এবং শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই দুই রাজনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ' শরদ পাওয়ার অনেক বরিষ্ঠ রাজনীতির। মুম্বইয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করব না, এটা ভাবাই ভুুল। উদ্ধব এবং অখিলেশ আমার পরিবারের সদস্যের মতো। নির্বাচনের পরে আমার অভিনন্দন জানানোর সুযোগ হল।'