ডাহা ফেল কল্যাণ, মানিকতলায় প্রায় ৬০ হাজার ভোটে জয়ী সুপ্তি
এই সময় | ১৩ জুলাই ২০২৪
সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর মানিকতলা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল সৈনিক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সুপ্তি পাণ্ডেকে। বাংলার অপর তিনটি কেন্দ্রের মতো শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্র মানিকতলাতেও তৃণমূলের জয়জয়কার। ৬০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন সাধন জায়া সুপ্তি। উচ্ছ্বাস তৃণমূল শিবিরে।২০২১ সালে মানিকতলা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছিল কল্যাণ চৌবেকে। কিন্তু, তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডের হাতে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, কল্যাণের অভিযোগ ছিল, গণনায় কারচুপি হয়েছে। এই অভিযোগে তিনি মামলা করেছিলেন। সাধনবাবু প্রয়াত হওয়ার পরেও আইনি জটিলতার কারণে দীর্ঘ সময় ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আইনি জটিলতা কাটার পর অবশেষে ১০ জুলাই মানিকতলা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। বিজেপি এই বারও মানিকতলা আসনে প্রার্থী করে কল্যাণ চৌবেকেই।
কিন্তু, উপনির্বাচনেও হালে পানি পাননি তিনি। প্রায় ৬০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন সুপ্তিদেবী। শনিবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ছবিটা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায়। অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন সুপ্তিদেবী। স্বাভাবিকভাবেই খুশির আমেজ তৃণমূল শিবিরে। চলছে সবুজ আবির খেলা।
মানিকতলার আসনটি দখলে রাখার জন্য রীতিমতো মরীয়া ছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু, শেষমেশ সেখানেও তৃণমূলের জয়জয়কার। ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মানিকতলা আসনে তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হয়ে আসছেন সাধন পাণ্ডে। ২০১১ সালে গোটা রাজ্যে পরিবর্তনের ঢেউ উঠেছিল। সেই সময় মানিকতলা কেন্দ্রে বাম প্রার্থী রূপা বাগচিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধন পাণ্ডে। ২০১৬ সালেও সিপিআই (এম)-এর রাজীব মজুমদারকে পরাজিত করেছিলেন সাধন পাণ্ডে।
সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে এবার জয়ের হ্যাট্রিক তৃণমূলের। প্রসঙ্গত, রাজ্যের অপর তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। বাগদায় উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর বাংলার বিধানসভার কনিষ্ঠতম সদস্য হতে চলেছেন। এই প্রথমবার রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। পাশাপাশি রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী।
লোকসভা নির্বাচনের পরে এবার রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনেও বড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই চারটি কেন্দ্রের মধ্য়ে তিনটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।