সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার নাবালক সহ ৩ জনের দেহ, চাঞ্চল্যকর ঘটনা ডেবরায়
এই সময় | ১৩ জুলাই ২০২৪
সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল তিনজনের দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরায়। মৃতরা হলেন যথাক্রমে সুজন সরেন (১৫), বদ্রিনাথ হেমরম (৫৮), বাপি বাসকে (৪৫)। ওই ট্যাঙ্কের ভেতর চোলাই মদের সরঞ্জাম লোকানো ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।জানা গিয়েছে, শনিবার এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের চক রাধাবল্লভ গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ওই সেফটির ট্যাঙ্কে চোলাই মধ্যে সরঞ্জাম আনতে নামে নাবালক সুজন সরেন। বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও ওই কিশোর উঠে না আসায় সন্দেহ হয় বাকিদের। এরপর বদ্রিনাথ হেমরম তাকে উদ্ধার করতে নামে। এরপর তিনিও ট্যাঙ্ক থেকে উঠে না আসায় আরেক ব্যাক্তি বাপি বাসকে ট্যাঙ্কে প্রবেশ করে। পরপর তিনজন ওই সেফটিক ট্যাংকে প্রবেশ করলেও কেউ উপরে উঠে আসতে পারেননি।
ঘটনার খবরে মুহূর্তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে ডেবরা থানায় খবর দেন। পুলিশ পৌঁছে স্থানীয়দের তৎপরতায় দ্রুত তাঁদের তিন জনকে উদ্ধার করে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁদের প্রত্যেকেই মৃত বলে ঘোষণা করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আবগারি দফতরের হাত থেকে বাঁচার জন্য সেপটিক ট্যাঙ্কে চোলাই মদের সরঞ্জাম লুকিয়ে রাখা হত বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ওই সব সরঞ্জাম তুলতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সেপটিক ট্যাঙ্কে বিষাক্ত গ্যাসের কারণেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। নাবালককে উদ্ধার করতে গিয়ে বৃদ্ধ এবং আরও এক জনের মৃত্যু হয়।’ স্থানীয়দের কথায়, ওই এলাকায় চোলাই মদের ব্যবসা হয়। আবগারি দফতরের থেকে লুকিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় মদের ব্যবসা চলছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কেন সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর তিনজনের এক সঙ্গে মৃত্যু হল, সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওখানে চোলাই মদ তৈরি করা হতো কিনা সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।