• মতুয়া ভোটও গেল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে, বাগদায় বড় জয় পেলেন মধুপর্ণা ঠাকুর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ জুলাই ২০২৪
  • আজ, শনিবার সকাল থেকেই চার বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর গণনা রাউন্ড যত এগোচ্ছে ততই পিছিয়ে পড়ছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। এই আবহে বিজেপি এখন মাঠ ছেড়ে পালাতে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ আসনটি জিতে নেয় বিজেপি। শান্তনু ঠাকুর জয়ী হন এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে। তাই বাগদা আসনটিও গেরুয়া শিবিরের দখলে যাবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা হল না। পারিবারিক বিবাদ থেকে ধরনায় বসা মধুপর্ণা ঠাকুরই বাগদা উপনির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করে দেন। সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন মধুপর্ণা ঠাকুর। প্রথম রাজনীতির ময়দানে নেমেই ছক্কা হাঁকালেন মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা। রাজ্য বিধানসভার কনিষ্ঠতম বিধায়ক হলেন তিনি।

    সদ্য লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ধরাশায়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। তার উপর চার উপনির্বাচনেও যদি পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় তাহলে বঙ্গ–বিজেপির অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে। এবার মধুপর্ণার জয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই গণনাকেন্দ্রের বাইরে বিজয় উল্লাস শুরু হয়েছে। দলের পতাকা হাতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করেছেন। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা আসলে মতুয়াদের গড়। গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তবে বিজেপির টিকিটে। পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাই এখানে এই উপনির্বাচন। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও বাগদায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। ব্যবধান ছিল ২০ হাজারের বেশি ভোটে। সেখানে উপনির্বাচনে মতুয়া ভোটেই বাজিমাত করলেন মধুপর্ণা।


    চারটি বিধানসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করলে বিজেপিকে শূন্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জিতে গিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। বাগদা আসন নিজেদের দখলে নেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। আজ, শনিবার গণনার শুরু থেকেই বাগদায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটের ব্যবধান। অবশেষে শনিবারের বারবেলায় ৩৩ হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থী বিনয়কুমার বিশ্বাসকে হারিয়ে জয়ী হন মধুপর্ণা ঠাকুর। মতুয়া ভোটের বড় অংশ মধুপর্ণার দিকে চলে যাওয়াতেই খেলা ঘুরল।

    তাছাড়া চলতি বিধানসভায় রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হতে চলেছেন মতুয়া পরিবারের সদস্য এবং তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর। তাঁর বয়স ২৫ বছর। ১৩ বছর পর এই কেন্দ্রে ফিরল তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ী ঘোষণা হতেই সবুজ আবিরে মেতেছেন নেতা–কর্মীরা। বাগদা এলাকার মানুষজন ভরসা করেছেন, এতেই খুশি সদ্য জয়ী মধুপর্ণা ঠাকুর। এখন তাঁর অনেক কাজ বাকি। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বনগাঁর সাংসদ ঠাকুরবাড়ির এবং বিধায়কও ঠাকুরবাড়ির। সুতরাং তরতরিয়ে উন্নয়ন হওয়ার কথা। যদিও দুই দলে বিভক্ত সাংসদ–বিধায়ক।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)