• চায়ের দোকানে ১৬ হাজার টাকা 'ধার' ব্লক প্রশাসনের, বিডিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রবীণ দোকানদারের
    এই সময় | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • চা খেয়ে দাম না দেওয়ার অভিযোগ এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বকেয়া প্রায় ১৪ হাজার টাকা পেতে গেলে দেখাতে হবে দোকানের জায়গার দলিল, এমনই নাকি নিদান দিয়েছেন বিডিও, দাবি প্রবীণ চা বিক্রেতার। এদিকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিও নিজে। 'অথেনটিক' বা খাঁটি বিল ওই চা বিক্রেতা জমা দেননি বলে পালটা অভিযোগ তাঁর। এই বিবাদের জল গড়িয়েছে বহুদূর। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোটা ঘটনায় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।সরকারি অফিসে টেন্ডারের বিল পাশ করানোর জন্য নানান ঝক্কি সামলাতে হয় ঠিকাদারদের, এমন অভিযোগ শোনা যায় অনেক সময়। কিন্তু, চা খেয়ে সেই বিল মাসের পর ফেলে রাখার নজির বোধহয় খুব একটা নেই সরকারি অফিসের ক্ষেত্রে।

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ব্লক প্রশাসনের ছোট্ট একটি চা দোকানে বিল বাকি রয়েছে ১৩ হাজার ৬০০ টাকা, এমনটাই দাবি দোকান মালিকের। কিন্তু, ছোট একটি চায়ের দোকানে কী ভাবে এক টাকা বিল বকেয়া রইল?

    অভিযোগ, দিনের পর দিন ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির নানান মিটিংয়ে চায়ের পাশাপাশি খাওয়া হয়েছে বিস্কুট, কফি, মশলা মুড়ি ইত্যাদি। মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির অনুমোদিত ক্যান্টিনটি বেশ কয়েকমাস বন্ধ ছিল কর্মীদের অসুস্থতার জন্য। সেই সময় পঞ্চায়েত সমিতির কিছুটা দূরে হিজলি টাইডাল ক্যানেলের পাড়ে গড়ে ওঠা নন্দ মাইতির এই চা দোকান থেকে চা, বিস্কুট, কফি, মশলা মুড়ি সরবরাহ করা হতো। সেই সমস্ত বিল বাবদ ১৪ হাজার টাকা বকেয়া বলে দাবি করেছেন দোকানদার নন্দ মাইতি। তাঁর আরও অভিযোগ, বকেয়া টাকা পেতে একাধিকবার ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কিন্তু, তা মেলেনি। পালটা বিডিও তাঁকে ধমক দিয়ে দোকানের কাগজ দেখাতে বলেছেন।

    যদিও এই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহিষাদলের বিডিও বরুণাশিস সরকার। তাঁর দাবি, 'ফেসবুকে যে বিলগুলি ঘুরছে তা ভুয়ো। এত টাকা বকেয়া নেই। ঘটনাটি আজ থেকে পাঁচ ছয় মাসের আগের। ও আগে থেকেই এখানে চা দিত। অনেক টাকা বেশি নিত। আমি বলেছিলাম এত টাকা দিয়ে চা নিতে পারব না। সেই সময় ও দুর্ব্যবহার করে।'

    তিনি আরও বলেন, 'এরই মধ্যে আমি খবর পেয়েছিলাম ও জমি জবরদখল করে ব্যবসা করছে। ও দাবি করেছিল ওটা ওর জমি। আমি শুধু কাগজ দেখাতে বলেছিলাম। এই হল ঘটনা। এখনও পর্যন্ত ও 'অথেনটিকেট বিল' ও জমা দেয়নি। খুব বেশি হলে ওর চার হাজার টাকা বাকি রয়েছে। খাঁটি বিল জমা দিলে সেই সমস্যাটা মিটে যাবে। ওঁর যাবতীয় দাবি ভিত্তিহীন।' ইতিমধ্যেই বকেয়া টাকা পাওয়ার জন্য মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাসের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন নন্দ মাইতি। শিউলিদেবীর দাবি, আবেদন পেয়েছি। বিডিওর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • Link to this news (এই সময়)