বিধানসভা উপনির্বাচনে ধরাশায়ী বিজেপি। চারটি কেন্দ্রের মধ্যে চারটিতেই পরাজিত গেরুয়া শিবির। এর মধ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে জিতেছিল বিজেপি। সেগুলিও হাতছাড়া হল বিজেপির। চারটি কেন্দ্রে হারের পর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের একাংশকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ হাজরা।লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে আশানুরূপ ফলাফল হয়নি বিজেপির। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যা টার্গেট দিয়ে যান, তার অর্ধেকও পূরণ করতে পারেনি রাজ্য নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যবেক্ষণ করেও রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন অনুপম হাজরা। বিধানসভা উপনির্বাচনেও তার অন্যথা হল না। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন অনুপম।
তাঁর বক্তব্য, ‘অধিকাংশ জেলায় অযোগ্য চোর, চিটিংবাজ, সেটিংবাজদের জেলা সভাপতি হিসেবে বসিয়ে রাখা হয়েছে।’ এতে বিজেপির বুথ স্তরের সংগঠন দুর্বল হচ্ছে।’ বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘অপব্যবহার’-এর অভিযোগ তুলে বরাবরই সরব হয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের আগে এজেন্সিকে কাজে লাগানো নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতৃত্ব। এদিনও ৪টি আসনে উপনির্বাচনা জেতার পরেও কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে সরব হয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের এই দাবিকে কার্যত সমর্থন জানান বিজেপি নেতা অনুপম রায়। তাঁর কথায় বিজেপির হারের আরও একটি কারণ, ‘রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগেই ইডি-সিবিআইয়ের উপর নির্ভরশীল রাজনীতির উপর নির্ভর করে হম্বিতম্বি করা।’ তবে, এসব কিছু পাশাপাশি রাজ্যে বিজেপির ‘দুর্বল’ সংগঠনের দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বিজেপি ভালো সংগঠন রয়েছে বলে রাজ্যের নেতারা দাবি করেন বলে কটাক্ষ তাঁর। অনুপম বলেন, ‘নিজেদের পদ ধরে রাখতে দিল্লির নেতারা বাংলায় এলেই আশেপাশের জেলা থেকে বাস ভাড়া করে লোক নিয়ে এসে বাংলায় বিজেপি সাংঘাতিক শক্তিশালী বলে দেখানো হয়। দিল্লির নেতাদের বোকা বানানো হয়।’
রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি নিয়ে এই চারটি কারণ তুলে ধরেন বিজেপি নেতা অনুপম রায়। রায়গঞ্জ, বাগদা এবং রানাঘাট দক্ষিণ এই তিনটি কেন্দ্রেই গতবার জিতেছিল বিজেপি। এমনকি, লোকসভা নির্বাচনের হিসেব অনুযায়ী এই চারটি কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার সেই তিনটি কেন্দ্রেও শোচনীয় ভাবে হারতে হয়েছে বিজেপিকে। যদিও, বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব হার স্বীকার করে আত্মসমালোচনা কথা জানিয়েছে। একাধিক কেন্দ্রে ভোটে সন্ত্রাস হয়েছে বলেও দাবি করেছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব।