অনশন করে প্রচারে, ভোটে জিতে বড়মার ঘরে ঢুকলেন মধুপর্ণা
এই সময় | ১৪ জুলাই ২০২৪
মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি বিধানসভার সদস্য হতে চলেছেন। বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েই তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর জানিয়েছিলেন তিনি 'বড়মা' বীণাপাণি দেবীর বন্ধ ঘরে ঢুকবেন আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য। শনিবার বিকেলে জয়ের পর বড়মার ঘরে ঢোকেন মধুপর্ণা। ঘরের মধ্যে ঢুকে আশীর্বাদ নেন তিনি। মমতাবালা ঠাকুর জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশেই তাঁরা ঘর ফিরে পেয়েছেন। দীর্ঘ প্রায় কয়েক মাস পর মতুয়া ভক্তরা আবারও বড়মা বীণাপাণিদেবীর ঘরে ঢুকে তা পরিষ্কার করে পুজোর ব্যবস্থা করেন।এদিকে শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত ঘরে ঢুকতে পেরে খুশি মধুপর্ণাও। শান্তনু অবশ্য ঠাকুর বলেন, 'বিষয়টি একটি আইনি ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে। তার মধ্যেই যারা তালা ভেঙেছে তাদের বিরুদ্ধে আবারও একটি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল 'বড়মা'-র এই ঘরেই তালা দিয়ে দেন বিজেপি সাংসদ তথা ঠাকুর পরিবারের সদস্য শান্তনু ঠাকুর। সেই সময় এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে ধরনায় বসেছিলেন তাঁর মেয়ে মধুপর্ণাও। তখন থেকেই চর্চায় উঠে আসেন তিনি। মায়ের সঙ্গে লাগাতার ধরনায় বসেছিলেন মধুপর্ণা। এই নিয়ে আদালতের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন মমতাবালা।
মমতাবালা ঠাকুর প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছিলেন, ওই ঘরে তাঁর সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে। বীণাপাণিদেবী যতদিন বেঁচেছিলেন তাঁর পাশের ঘরটিতেই থাকতেন বউমা মমতাবালা। সেই সময় মমতাবালা দাবি করেছিলেন, শান্তনু ওই ঘরে তালা দেওয়ার পর তাঁকে এবং তাঁর মেয়েকে বাইরেই রাত কাটাতে হয়েছে। মায়ের সঙ্গ দিয়েছিলেন মধুপর্ণাও।
এদিকে বিধানসভা উপনির্বাচনে বাগদা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে মধুপর্ণাকেই বেছে নিয়েছিল তৃণমূল। জয়ীও হয়েছেন তিনি। এবার জয়ী হওয়ার পর তিনি বড়মার ঘরের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকলেন এবং আশীর্বাদ নিলেন।
উল্লেখ্য, বড়মার দুই ছেলে -কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী হলেন মমতাবালা এবং তাঁর মেয়ে মধুপর্ণা। অন্য়দিকে, মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের ছেলে শান্তনু এবং সুব্রত ঠাকুর। মমতাবালা ঠাকুর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ এবং শান্তনু ঠাকুর বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির সাংসদ।
বাগদা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন মধুপর্ণা। বিজেপি প্রার্থী বিনয়কুমার বিশ্বাসকে ৩৩ হাজার ৪৫৫ ভোটে পরাজিত করেন তিনি। জয় নিয়ে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। ভোটে জয়ের পরেই তাঁর এই পদক্ষেপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।