• দুবরাজপুরে বাসের ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যু, উত্তেজনা
    বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, রামপুরহাট: দুবরাজপুরে বাসের ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যু হল। শনিবার সকালে সেখানকার আশ্রম মোড় রেলসেতুর কাছে একটি বাস পিছন থেকে সজোরে ওই কিশোরের সাইকেলে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মাহাতাব খান (১৩) নামে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি দুবরাজপুর থানার আদমপুর গ্রামে। এঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। জনবহুল এলাকায় এত জোরে বাস চললেও দেখার কেউ নেই কেন-এটাই জানতে চান এলাকার মানুষ।


    এদিন সকালে মল্লারপুরের জামালপুরেও পথদুর্ঘটনা ঘটে। তাতে এক ব্যক্তি জখম হন। উত্তেজিত জনতা যান নিয়ন্ত্রণের দাবিতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে।


    দুবরাজপুরের দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাহাতাব সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল। সেসময় গেরুয়াপাহাড়ি থেকে আসানসোলের দিকে যাওয়ার পথে বেসরকারি বাসটি তাকে পিছন থেকে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে কিশোরের মৃত্যু হয়। বাসের চালক ও খালাসি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা ওই বাসে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। দুবরাজপুর থানার পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিস ওই কিশোরের মৃতদেহ স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।


    দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এর জেরে ওই রাস্তায় ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। পুলিস বাসটি সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রত্যক্ষদর্শী সাওয়ার হুসেন খান বলেন, বাসটি পিছন থেকে ওই কিশোরের সাইকেলে ধাক্কা মেরেছে। পাশেই স্কুল রয়েছে। প্রতিদিন রাস্তার ভিড়ের মাঝেও প্রচণ্ড জোরে বাস চলাচল করে। এই এলাকায় একজন ট্রাফিক পুলিস দেওয়া জরুরি।


    মল্লারপুরের জামালপুরের কাছে রাস্তায় বাঁক রয়েছে। এদিন সকালে সেখানে গাড়ির ধাক্কায় একজন কোমরে গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যালে নিয়ে যান।


    এই দুর্ঘটনার পর রাস্তায় সাইকেল ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁরা পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। এর জেরে বহু গাড়ি ও টোটো আটকে পড়ে। তড়িঘড়ি পুলিস এসে মল্লারপুর-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কে যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।


    স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আলি বলেন, এর আগে ছয়-সাতবার এই একই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৫ জুলাই সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে লরির ধাক্কায় রাধারানি ভকত নামে এক বধূর মৃত্যু হয়। সেসময় এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণে গার্ডরেল ও সিভিক ভলান্টিয়ার চেয়ে গণ-স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র থানায় দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিস গুরুত্ব দেয়নি। এদিন ফের সেখানেই দুর্ঘটনা ঘটল। এরই প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি। এদিন জামালপুরে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিসকে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। পরে পুলিস গার্ডরেল বসানোর পাশাপাশি একজন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করলে স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নেন।
  • Link to this news (বর্তমান)