নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: ১৮হাজার কর্মী নিয়োগ করবে রেল। সেপ্টেম্বর মাসে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। রেলের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মীর অভাব রয়েছে। তার খেসারত রেলকে বিভিন্ন সময় দিতে হয়েছে। চালক, সহকারী চালক সহ কর্মীদের অতিরিক্ত সময় ডিউটি করতে হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৮হাজার কর্মী নিয়োগোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, ওই নিয়োগের পরও বহু পদ শূন্য থাকবে। সেগুলি পূরণের জন্যও রেলের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে কর্মী নিয়োগ করা হবে। সর্বভারতীয় রেলে কর্মী নিয়োগ করা হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পরপর বেশ কয়েকটি ট্রেন দুর্ঘটনার পর ট্রেন চালকদের ডিউটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাঁদের বিশ্রামের সুবন্দোবস্ত করা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছিল। কর্তৃপক্ষের দাবি, চালক, সহকারী চালক বা গার্ডদের ডিউটির পর বিশ্রামের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁদের জন্য স্পেশাল রুম হয়েছে। বর্ধমানেও আধুনিক মানের বিশ্রামাগার তৈরি হয়েছে। সিপিআরও বলেন, তাঁদের জন্য মেডিটেশন রুম রয়েছে। যোগা করার জন্য আলাদা বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ট্রেডমিলেও তাঁরা ব্যায়াম করতে পারবেন। বডি ম্যাসাজও করা যাবে। তাঁরা ফিটনেস বজায় রাখার জন্য টেবিল টেনিস খেলতে পারেন। প্রতিটি রুম এসি। থ্রি-স্টার হোটেলের আদলে সেগুলি তৈরি করা হয়েছে। চালকদের খাওয়ার জন্য সব ধরনের বন্দোবস্ত থাকে। বোলপুর, রামপুরহাট, বর্ধমান, আসানসোল, শিয়ালদহ, হাওড়া, ভাগলপুর সহ ২৬টি জায়গায় এধরনের বিশ্রামাগার তৈরি হয়েছে। পাণ্ডবেশ্বরেও এধরনের বিশ্রামাগার তৈরি হয়েছে। চালক বা সহকারী চালকদের আগেও সুবিধা দেওয়া হতো। এখনও নানা সুবিধা দেওয়া হয়।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কয়েকটি দুর্ঘটনার পর রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। চালকরা আদৌ বিশ্রাম পান কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এদিন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁদের বিশ্রামের জন্য সবরকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কর্মীর অভাব মেটানোর জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রাখা হবে। এক আধিকারিক বলেন, রেলে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হলে একটি চক্র প্রতারণা শুরু করে। তারা চাকরি দেওয়ার নামে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদের থেকে দূরে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে রেলের তরফ থেকে। তাদের দাবি, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সুপারিশ কাজ করে না। পরীক্ষায় সফল হলেই চাকরি পাওয়া যাবে। কাউকে টাকা দেওয়ার দরকার নেই। পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি ধাপে কর্মী নিয়োগ করা হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা রাখা হবে। সিপিআরও বলেন, রুটিনমাফিক নিয়োগ হয়। আগস্ট মাসে প্রমোশন দিয়ে এক হাজার ২৬০জনকে চালক পদে বসানো হবে।