• বংশীহারির দৌলতপুর হাইস্কুলের জমিতে মার্কেট তৈরি করে লিজ ব্যবসায়ীদের, বিতর্ক
    বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • সোমেন পাল, গঙ্গারামপুর: বংশীহারির দৌলতপুর হাইস্কুলে সরকারি জমির উপর বেসরকারি উদ্যোগে মার্কেট তৈরি করে লিজ দেওয়ায় বিতর্ক ছড়িয়েছে। সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যখন তৎপর প্রশাসন, সেই পেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সরকার পোষিত স্কুলের জমিতে মার্কেট তৈরি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শিক্ষাদপ্তরকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে বংশীহারি দৌলতপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের প্রধান গেটের সামনে ব্যবসায়ীদের আর্থিক সাহায্যে তিনটি দোকান তৈরি করে লিজ দিয়েছে। সরকারি সম্পত্তি বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গা কীভাবে বেসরকারিকরণ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে শিক্ষাদপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 


    অতিরিক্ত জেলা স্কুল পরিদর্শক নগেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আমি জুন মাসে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছি। দৌলতপুর হাইস্কুল বেসরকারি উদ্যোগে সরকারি জমিতে এমনটা করতে পারে না। বিষয়টি ঠিক কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। 


    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ সদস্যের স্কুল পরিচালন সমিতি গত ফেব্রুয়ারিতে স্কুলের জমিতে মার্কেট তৈরি নিয়ে রেজ্যুলেশন করে। দু’জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছ’লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। এই টাকায় তিনটি দোকান নির্মাণের বরাত দেওয়া হয় স্থানীয় ঠিকাদারকে। সেই কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তিন বছরের লিজে মাসিক ১০০০ টাকা ভাড়ায় দোকানগুলি ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে। স্কুলের জায়গাতে দোকান খোলা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জেলা শিক্ষাদপ্তর যে নিয়মিত স্কুলগুলিতে নজরদারি করে না, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। দৌলতপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমেন্দ্রনাথ রায় বলেন, স্কুলের আয় বাড়ানোর জন্য পরিচালন সমিতি রেজ্যুলেশন করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মার্কেটের তিনটি ঘর তৈরি করেছে। গৌড়বঙ্গে অনেক স্কুলের জায়গায় মার্কেট রয়েছে। আমরা জায়গা বিক্রি করিনি, লিজে দেওয়া হয়েছে মাসিক ভাড়ায়। ঘরগুলি তৈরি করে বিপদে পড়েছি, এত আইনি জটিলতা থাকতে পারে তা জানা ছিল না। 


    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বেসরকারি উদ্যোগে মার্কেট তৈরি করায় তিনটি দোকানের ব্যবসায়ীদের আগামী দিনে স্কুল কর্তৃপক্ষ তুলে দিতে পারবে না। তার উপর স্কুল কর্তৃপক্ষ কি সরকারি জমির লিজ দিতে পারে তা নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি স্বপন পাল বলেন, নেশা জাতীয় কোনও ব্যবসা হবে না। খাবারের দোকান ও বই খাতার দোকান হবে। বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। সেই সঙ্গে স্কুলের আয় বাড়বে। তাতে করে আমরা স্কুলের উন্নয়ন করতে পারব। তবে এটা ঠিক মার্কেটের বিষয়ে আমরা শিক্ষাদপ্তরকে জানাইনি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)