• পাইকারি ও খুচরো বাজারে সব্জির দামে দ্বিগুণ ফারাক
    বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা মহকুমায় পাইকারি বাজারের চেয়ে আদা, রসুন ও লঙ্কা খুচরো বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। টাস্কফোর্সের টিম পাইকারি বাজারে গেলেও খুচরো বাজারগুলিতে খোঁজ না নেওয়ায় দ্বিগুণ দামেই সব্জি কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এনিয়ে ক্ষোভ জমেছে সাধারণ মানুষের। যদিও মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, খুচরো ও পাইকারি বাজার সব জায়গায় গিয়ে বাজারদর পর্যালোচনা করা হবে। কোথাও অসঙ্গতি থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মাথাভাঙা শহর সংলগ্ন পচাগড় পঞ্চায়েতের পঞ্চানন মোড়ের কৃষক বাজারে প্রতিদিন পাইকারি সব্জির বাজার বসে। শনিবার কৃষক বাজারের পাইকারিতে সব্জির দাম ছিল প্রতি কেজি আলু (জ্যোতি) ২২ টাকা, বেগুন ৩৫ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, আদা ১৩০ টাকা, রসুন ১৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা এবং কাঁচা লঙ্কা ৮০ টাকা। এই পাইকারি বাজারে দু’দিন আগে টাস্কফোর্সের অফিসাররা এসেছিলেন। ফলে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। পাইকারি বাজারে আদা, রসুন ও কাঁচা লঙ্কার দাম যা রয়েছে খুচরো বাজারে গেলে তার চেয়ে দ্বিগুণ নেওয়া হচ্ছে। আদা ও রসুন ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা নিচ্ছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। কাঁচা লঙ্কা ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। পাইকারি ও খুচরো বাজারের মধ্যে এতটা পার্থক্য হওয়ায় পকেট কাটা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। 


    শহর সংলগ্ন বাজারগুলির দামের ফারাক আরও বেশি। বিশেষ করে কয়েক কিমি দূরের খুচরো বাজারগুলিতে প্রতিটি সব্জির দাম দ্বিগুণ নেওয়া হচ্ছে। মাথাভাঙার কাউয়ারডারার বাসিন্দা অজয় সরকার এবং কুর্শামারির বাসিন্দা করিমুল হক বলেন, পাইকারি বাজারে সব্জির যা দাম তার চেয়ে দ্বিগুণ দামে আমাদের কিনতে হচ্ছে। পাইকারি বাজার বসে সকালে। সেখানে যেতেও পারি না। বাধ্য হয়ে এখান থেকে কিনছি। টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে শুনেছি। ওদের পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরো বাজারগুলিতেও হানা দেওয়া উচিত। তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণ হবে। মাথাভাঙার মহকুমা শাসক নবনীত মিত্তাল বলেন, টাস্কফোর্সের অফিসাররা পাইকারি বাজারগুলিতে যাচ্ছেন। আমি ওঁদের সঙ্গে কথা বলব। গ্রামীণ বাজারগুলিতেও যাওয়া হবে। বাজার দামের চেয়ে দ্বিগুণ নেওয়া হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব আমরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)