• মাটিগাড়া ব্লকে ৫০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের
    বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মাটিগাড়ায় ক্রমে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। একদিনেই মাটিগাড়া ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন সাতজন। ব্লকে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জনের বেশি। শনিবার মাটিগাড়া ব্লকের পাথরঘাটা ও মাটিগাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৫০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যদপ্তর। এছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ব্লকের বেশকিছু এলাকা থেকে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ব্লকে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ জন। ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলাপ্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর। 


    দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল বলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর সতর্ক রয়েছে। নতুন করে যাঁরা জ্বরে আক্রন্ত হয়েছেন তাঁদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় তারজন্য তড়িঘড়ি ময়দানে নেমেছে ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে শনিবার মাটিগাড়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত বাসিন্দাদের বাড়ির এলাকা পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যদপ্তরের টিম। মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস, জয়েন্ট বিডিও প্রশান্ত সোনার সহ স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেন। বিডিও বলেন, ডেঙ্গু দমনে আমরা ভিসিটি ও ভিএসটি টিমের সদস্যর সংখ্যা বাড়িয়েছি। শনিবার ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেছি। শুক্রবার সাতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। জ্বরে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি জানতে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে। 


    ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মাটিগাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঁচজন এবং পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে দু’জন ডেঙ্গুতে আক্রন্ত হয়েছেন। এরমধ্যে রানানগরে দু’জন, তুম্বাজোত, পালপাড়া, শিমূলতলা, বানিয়াখাড়ি, পতন-ফুলবাড়িতে একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মাটিগাড়া ব্লকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা মাটিগাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানে গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই রয়েছে পাথরঘাটা। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ জন। মাটিগাড়ার বিএমওএইচ ডাঃ অরিন্দম দে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা সচেতনতা প্রচার শুরু করেছি। বাড়ির কোথাও যাতে খোলা জায়গায় জল জমে না থাকে সেদিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে। রানানগর ও তুম্বাজোত থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দুই জায়গা থেকেই জলে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরকে নিয়মিত রিপোর্ট পাঠাচ্ছি। 
  • Link to this news (বর্তমান)