সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনির পর গঙ্গা নদীর ভাঙনের রোষে এবার গোপালপুর। তিনটি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। বাঁধের গা ঘেষে বইছে গঙ্গা নদী। রাতে ঘুম উড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাত জেগে তাঁরা পাহারা দিচ্ছেন। যেকোনও মুহূর্তে গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে ওই বাঁধ। তবে জরুরি ভিত্তিতে কাজের জন্য সেচদপ্তরকে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতি।
গোপালপুর পঞ্চায়েতের কামালতিপুর, উত্তর হুকুমতটোলা এবং ঈশ্বরটোলা এলাকায় গত চার দিন ধরে ব্যাপক ভাঙন চলছে। গঙ্গার জল ক্রমশ বাড়ছে। তার সঙ্গে ভাঙনও পাল্লা দিচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় বিঘার পর বিঘা পাটের জমি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। গত বছরেই দক্ষিণ হুকুমতটোলায় ভাঙনের জেরে দুই শতাধিক পরিবার বাস্তুভিটা হারিয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছে। এবছরও একই পরিণতির সামনে দাঁড়িয়ে কামালতিপুরের বাসিন্দারা। এই এলাকায় ৫০০ পরিবারের বসবাস। বসতবাড়ি থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে বাঁধ। আর বাঁধের গা ঘেঁষেই বয়ে চলেছে প্রমত্ত গঙ্গা। স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদা বেওয়া বলেন, ভাঙন যেভাবে চলছে তাতে যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। আমরা ভয়ের মধ্যে রয়েছি। গ্রামে নদীর জল প্রবেশ করলে আমরা কোথায় যাব, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।
অন্যদিকে উত্তর হুকুমতটোলা ও ঈশ্বরটোলায় রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন বাসিন্দারা। যাতে বাঁধ ভাঙলে সকলকে সতর্ক করা যায়। বাঁধের একেবারে পাশেই রয়েছে এক মসজিদ। সেই মসজিদ এখন সঙ্কটের মুখে। বিগত কয়েক বছর ধরে ভাঙন হলেও এবছর তা আরও ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা।
মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শেখ সাকিরউদ্দিন বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তী। কিছুদিন আগে সেচদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মানিকচকের ভাঙন নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ভূতনি ও গোপালপুরে জরুরি ভিত্তিতে কাজের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।