• রতুয়ার লোকরিগোলায় আজও পাকা সেতু হয়নি শীত-বর্ষায় চলছে ঝুঁকির পারাপার
    বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের লোকরিগোলা ঘাটে পাকা সেতুর দাবি আজও পূরণ হয়নি। তাই পারাপারের জন্য সাঁকোই ভরসা স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা জানিয়েছেন, ব্লকের চাঁদমণি-১ পঞ্চায়েতের লোকরিগোলা ঘাটে দীর্ঘদিন ধরেই কংক্রিটের সেতুর দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন আজও সেতু তৈরিতে উদ্যোগী হয়নি। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই নিজেদের প্রয়োজনের তাগিদে তাঁরা সাঁকো তৈরি করে নদী পারাপার করেন। এভাবে বিপজ্জনক পারাপারে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 


    প্রসঙ্গে রতুয়া-১ বিডিও রাকেশ টোপ্পো বলেন, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে  লোকরিগোলা ঘাটে কংক্রিটের সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিআর তৈরি করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে। 


    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষাকালে নদীতে জল বেড়ে গেলে সাঁকো ভেসে যায়। তখন ছোট নৌকায় পারাপার করতে হয়। এই পারাপার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ব্লকের কয়েকটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের এনিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাগীরথীর শাখা চিথলিয়া নদী চাঁদমণি-১ ও বাহারাল পঞ্চায়েতের মধ্যদিয়ে রতুয়া-২ ব্লকের আড়াইডাঙ্গা, পরাণপুর, পুখুরিয়া অঞ্চল দিয়ে মহানন্দা নদীতে গিয়ে মিশেছে। লোকরিগোলা ঘাটটি ব্লকের চাঁদমণি-১ পঞ্চায়েতের গোরাক্ষা গ্রাম  ও লোকরিগোলা গ্রামের মাঝে।


    এপ্রসঙ্গে বাটনা হাই মাদ্রাসার শিক্ষক মহম্মদ রাকিবুল হাসান বলেন, শুখা মরশুমে লোকরিগোলা ঘাট পার হতে ভরসা বাঁশের মাচার সাঁকো। বর্ষাকালে নৌকা ছাড়া গতি নেই। এই ঘাট দিয়ে এলাকার হাইস্কুল, জুনিয়র হাইস্কুল, দু’টি হাই মাদ্রাসা সহ চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিপজ্জনকভাবে যাতায়াত করতে হয়। এখানে একটি পাকা সেতু তৈরি হলে বহু মানুষ উপকৃত হবে।


    এই ঘাট দিয়ে রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমণি-১ পঞ্চায়েতের গোরাক্ষা, লোকরিগোলা, চাঁদমণি, শিকটাহার, মালোপাড়া, পাঁচপাড়া কলোনি, মাটিয়ারি, ঝাওয়াবাড়ি, শান্তপুর, শেখপুর, গাইনটোলা, গুঞ্জরোক প্রভৃতি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত  করেন। চাঁদমণি-১ পঞ্চায়েত অফিস, গোরাক্ষা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আড়াইডাঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রতুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রতুয়া থানা, ব্লক প্রশাসনিক ভবনে যাওয়ার জন্য এই ঘাট অতিক্রম করতে হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)