• উপ নির্বাচনে চার কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত বাম-কং জোটের
    বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনেও ভরাডুবি অব্যাহত বামেদের। সেই সঙ্গে রাজ্য-রাজনীতিতে আরও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ল বাম-কংগ্রেস জোট। ভোটের ফলাফল অন্তত তাই বলছে। চারটি বিধানসভাতেই বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই অবস্থায় সিপিএম নেতৃত্ব ভোট লুটের তত্ত্ব আঁকড়ে পিঠ বাঁচাতে চাইছেন। সেই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, তিনটি বিধানসভায় লোকসভার তুলনায় ভোট শতাংশ সামান্য বেড়েছে। একমাত্র রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভায় লোকসভার তুলনায় ২ শতাংশ ভোট কমেছে বামেদের। 


    মানিকতলা বিধানসভা উপ নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী রাজীব মজুমদারের ঝুলিতে এসেছে ৯ হাজার ৪৭৮টি ভোট (পোস্টাল ব্যালটের ২৪টি ভোট বাদে)। যেখানে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জোটের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য পেয়েছিলেন ৯ হাজার ৪২১টি ভোট (পোস্টাল ব্যালট ছাড়া)। রাজীববাবুর কথায়, ‘প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যেও লোকসভার তুলনায় আমাদের ভোটের শতাংশ বেড়েছে। কম ভোট পড়ার পরেও প্রাপ্ত ভোট বৃদ্ধি হয়েছে। এটা একটা ইতিবাচক দিক।’ অন্যদিকে, রায়গঞ্জে জোটের কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত ১৫ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। লোকসভা ভোটের নিরিখে রানাঘাট দক্ষিণে সিপিএম প্রায় ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এই উপ নির্বাচনে তা কমে ৬ শতাংশের আশপাশে এসেছে। বাগদা বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হয়নি। সেখানে বামফ্রন্টের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রায় ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। কংগ্রেস প্রার্থীর ভোট শতাংশ ১ শতাংশও হয়নি।     


    ফলাফল নিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘গোটা দেশে উপ নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপি হেরেছে। বিরোধীদের জয় হয়েছে। বাংলায় সেটা তৃণমূল জিতেছে। আমার বক্তব্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর দু’টি কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবারও লোকসভার পর উপ নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট শতাংশ কমবেশি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। আসলে লুটের ভোটের হিসেব রাখা বড় দায়।’
  • Link to this news (বর্তমান)