রায়গঞ্জ উপ নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে চর্চা শুরু বিজেপিতে
বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: প্রার্থী নিয়ে দলে হতাশা ছিল। মানছেন বিজেপি নেতারা। মাত্র দেড় মাসেই উলটপুরাণ রায়গঞ্জে। লোকসভায় ৪৭ হাজারে ভোটে এগিয়ে থাকা সেই রায়গঞ্জেই এবার ৫০ হাজার ভোটে পরাজিত পদ্ম শিবির। যা বিশ্বাসই করতে পারছেন না বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বললেন, দেড় মাসের ব্যবধানে এই ৪৭ হাজারের লিডটা কীভাবে ৫০ হাজারে পিছিয়ে গেল, এনিয়ে সাংগঠনিক আলোচনা হবে। আমরা কোথায় পলিসি মেকিংয়ে ভুল করলাম, নাকি প্রার্থী নিয়ে ভুল হল সেটা নিয়ে আমরা রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বসে আলোচনা করব। তিনি আরও বলেন, এই ফলাফল নিয়ে আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে। রায়গঞ্জ বরাবরই আমাদের এলাকা। সনাতনীদের এলাকা। সেখানে আমাদের কোথায় ভুল হল, তা নিয়ে আমরা চর্চা করব।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, এই ফলাফল থেকেও স্পষ্ট হয়ে গেল বিজেপির এখানে সংগঠন বলে কিছু নেই। লোকসভায় যা ফল হয়েছে সেটা শুধুই হাওয়ায় হয়েছে। বিধানসভা উপ নির্বাচনে সেই হাওয়া ছিল না। তার সঙ্গে ছিল বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। কারণ মাত্র এক বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল থেকে আসা মানস ঘোষকে প্রার্থী করায় ব্যাপক প্রতিবাদ হয় বিজেপির অন্দরে। দলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাঁদেরই একজনকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড় করায়। সেসময় ওই প্রার্থীকে সমর্থনের কথাও বলেছিলেন জেলার এক প্রবীন নেতাও।
বিজেপির জেলা নেতা অভিজিৎ যোশী বলেন, বিধানসভা উপ নির্বাচন সব সময় শাসকদলের পক্ষেই থাকে। তবে কিছুদিন আগে তৃণমূল থেকে আসা মানস ঘোষ বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে প্রভাব পড়েছে। আমরা কর্মীদের ভোটের কাজে নামাতে পারিনি। যারা দীর্ঘ সময় বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন তাঁরা এই প্রার্থীকে মেনে নিতে পারেননি। এছাড়া প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব, মণ্ডল নেতৃত্বের সঙ্গে তেমন কোনও আলোচনাই করেনি।