• বঙ্গে বিজেপির ভরাডুবি: রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি পর্যবেক্ষকদের দুষছে নেতৃত্ব
    বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ঝুলিতে এসেছে মাত্র ১২টি আসন। বিধানসভা উপনির্বাচনে কোনও লক্ষ্যমাত্রাই দেওয়া হয়নি বঙ্গ বিজেপিকে। শনিবার বাংলার যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তাতে একটি আসনেও জিততে পারেনি গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ, বাংলায় বিজেপির বিপর্যয়ের পর ভরাডুবি! বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব যে কার্যত দলের সাংগঠনিক হালই বেহাল করে ফেলেছে, সেটা ভালোই বুঝেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরাও যে ধোয়া তুলসি পাতা নয়, সেটাও এবার বলছেন নাড্ডারা। তাঁদের সাফ যুক্তি, রাজ্য নেতৃত্বের ব্যর্থতা তো আছেই। সেটা মানতেই হচ্ছে। কিন্তু কোনও রাজ্যের জন্য নজিরবিহীনভাবে পাঁচ জন পর্যবেক্ষক রেখেও কোনও উন্নতি হচ্ছে না। এই পর্যবেক্ষকরা না পারছেন দলের কোন্দল থামাতে, না পারছেন দলের সংগঠন মজবুত করতে। তাই পরের পর ভরাডুবি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। শুধু রিগিং তত্ত্ব দিয়ে এই সাংগঠনিক বিপর্যয়কে যে আড়াল করা যাবে না তা স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সর্বভারতীয় নেতাদের উপরই। বাংলায় পাঁচজন ভারপ্রাপ্ত নেতা পাঠিয়েও রাজ্যে দলের সাংগঠনিক হাল ফেরে না কেন? এ প্রশ্ন তুলেই বঙ্গ বিজেপির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। 


    সব দোষ পর্যবেক্ষকদের। তারা রাজ্য তথা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ঠিকমতো সমন্বয় রক্ষা করতেই পারছেন না। চারটি বিধানসভা উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর বাংলা নিয়ে এমনই প্রাথমিক মূল্যায়ন করছে বিজেপি। এই মুহূর্তে বাংলার সাংগঠনিক হালহকিকত খতিয়ে দেখার জন্য পাঁচজন ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন। তাঁরা হলেন সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডে, আশা লাকরা, অমিত মালব্য এবং সতীশ ধন্দ। সতীশ ধন্দকে রাজ্য বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) করে বাংলায় পাঠিয়েছেন নাড্ডা। বাংলার ভারপ্রাপ্ত বিজেপির সর্বভারতীয় নেতাদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে বিজেপিতে। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি গেরুয়া শিবির। তবে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার রাজ্য বিজেপির বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। সেখানে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের ভূমিকাও আতশকাচের তলায় আসতে চলেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)