‘তোলা’ দিতে না চাওয়ায় সিঁথিতে আক্রান্ত প্রোমোটার, লুটপাট-ভাঙচুর চলল অফিসে
বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভাড়াটে উচ্ছেদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ‘তোলা’ দিতে হবে। সে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অফিসে ঢুকে মারধর করা হল এক প্রোমোটারকে। পাশাপাশি, তাঁর অফিস থেকে নগদ এক লক্ষ ৯৫ লাখ টাকা ও প্ল্যাটিনামের আংটি লুট করে পালানোর অভিযোগও উঠল। প্রোমোটার জখম। একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ মণ্ডল ওরফে রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাশীপুর থানা এলাকায় সিঁথির মোড়ের কাছে। অভিজিৎ মণ্ডল, সায়নরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে রূপ, কানু ওরফে ওয়ালজিৎ এবং রিপু নামে স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। নিগৃহীত প্রোমোটারের অভিযোগ, ওই ব্যক্তিরা নিজেদের কাশীপুর বেলগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক ‘অতীন ঘোষের লোক’ বলে হুমকি দেয়। তবে অতীন ঘোষ বলেছেন, ‘রানা দলের দীর্ঘদিনের সক্রিয় কর্মী। দু’বছর হল আমি কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক হয়েছি, সেই সূত্রে ওর সঙ্গে আমার পরিচয়। যে ঘটনায় ওর নাম জড়িয়েছে তা সমর্থনযোগ্য নয়। পুলিস আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। আমি দলকে বিষয়টি জানিয়েছি।’ কলকাতা পুলিসের ডিসি (নর্থ) অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত জীতেনকুমার পাল ও কানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত রানাকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনার সূত্রপাত, শুক্রবার রাতে। অভিযোগ, রানা তার দলবল নিয়ে সিঁথির মোড়ের কাছে ওই প্রোমোটারের অফিসে ঢুকে পাঁচ লাখ টাকা তোলা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। বচসা চলাকালীন প্রোমোটারকে মারধর, লুটপাটের পাশাপাশি অফিসে ভাঙচুরও চালায়। ঘটনাস্থল থেকে যাওয়ার আগে সিসি ক্যামেরাও ভেঙে দেয়। প্রোমোটারের দাদা তাপস মজুমদার রাতেই কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে কাশীপুর থানা।
উল্লেখ্য, সাত জুলাই পর্ণশ্রীতে যিশু জৈন নামে এক প্রোমোটারের কাছে ৫০ হাজার তোলা দাবি করেছিল তৃণমূলের বুথস্তরের এক নেতা বলে অভিযোগ ওঠে। পর্ণশ্রী থানার পাশাপাশি কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েলের কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তবে সে ঘটনায় এখনও মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি। তার মধ্যে কাশীপুরে প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।