নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বয়স মাত্র ১১ বছর। এর মধ্যেই বেহাল দশা নেপালগঞ্জ সেতুর। ব্রিজে ওঠা ও নামার মুখে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ফুটপাতের একাংশও। ফলে ওই ব্রিজের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল থেকে শুরু করে হাঁটাচলা বিরাট ঝক্কির ব্যাপার হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলেই বেহাল দশা এই সেতুটির। তাছাড়া সেতুর এই হালের কারণে ওই রাস্তায় গাড়ির গতি কমে গিয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত যাতে সেতুটি মেরামত করা হয়, সেই দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
ভৌগোলিকভাবেও নেপালগঞ্জ সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সেতু দিয়ে একদিকে সোনারপুর, অপরদিকে জুলপিয়া হয়ে আমতলা এবং অন্যদিকে কবরডাঙা ও ঠাকুরপুকুর যাওয়া যায়। সেতুর একদম মুখেই নেপালগঞ্জ বাজার রয়েছে। সেখানে সপ্তাহে দু’দিন হাট বসে। ব্যবসায়ীরা বলেন, সকালের ব্যস্ত সময়ে সেতুতে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। যানজটের জেরে বাজারে কোনও গাড়ি ঢুকতে পারে না। সেতুর ফুটপাত ভেঙে যাওয়ার কারণে পথচারীদের রাস্তার উপর দিয়েই চলাফেরা করতে হয়। এতেও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। আর নেপালগঞ্জ বাজারের দিক দিয়ে সেতুতে ওঠার সময় যেভাবে রাস্তা ভেঙে ঢাল তৈরি হয়েছে, সেখান দিয়ে অটো বা ভ্যান নিয়ে যেতে গেলে কালঘাম ছুটে যায় চালকদের।
জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি টালি নালার উপরে নির্মিত এই সেতুর উদ্বোধন হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে বড় রকমের সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি বলেই অভিযোগ। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, দ্রুত যদি এই সেতুর সংস্কার না করা হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী, সবারই সমস্যা হবে।
সেতুর এমন বেহাল দশা নিয়ে বিষ্ণুপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও নাজিরউদ্দিন সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। দ্রুত যাতে সেতুর মেরামত করা যায়, সে ব্যাপারে আবেদন করা হবে। আমরা আশাবাদী যে, কাজ শীঘ্রই শুরু করা যাবে।