• বারুইপুরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও সব্জি, আলু, পেঁয়াজের লাগামছাড়া দর
    বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা,  বারুইপুর: গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বৈঠক করে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ১০ দিনের মধ্যে বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু তাঁর এই নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার করে বারুইপুরের বাজারে সব্জি থেকে শুরু করে আলু, পেঁয়াজের দাম এখনও আকাশছোঁয়া। ব্যবসায়ীরা যে যাঁর মতো দর হাঁকাচ্ছেন। ফলে রোজ বাজার করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ, মধ্যবিত্ত মানুষের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন থেকে কয়েকটি জায়গায় নজরদারি শুরু হলেও অফিসাররা যখন বাজারে যাচ্ছেন, তখন তাঁদের কাছ থেকে সঠিক দাম লুকোচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিটি করে নজরদারি চলছে। বারুইপুরের বাজারগুলিও দেখা হবে।


    দিনকয়েক ধরেই সব্জির দর কার্যত আগুন। অনেকের সাধ্যের বাইরে চলে গিয়েছে রান্নাঘরের অতি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সব্জি। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন বাজারে ও রাস্তার পাশে বিক্রেতারা সব্জির চড়া দর হাঁকাচ্ছেন। নেই প্রশাসনের কোনও নজরদারি। এই বাজারেই পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কিলোয়। এছাড়া বেগুন ১০০ টাকা, কুমড়ো ৫০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, বড়বটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লঙ্কা ২০০ টাকা কিলো। 


    এলাকার এক বাসিন্দা সুকুমার দাস বলেন, কোথায় দাম নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে? ঝিঙের দাম পর্যন্ত কেউ ৫০ টাকা কিলো। কেউ ৬০ টাকাও নিচ্ছেন। আলু কোনও দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকায়, কেউ ৩৬-৩৮ টাকা দরে বিক্রি করছেন। মুদি দোকানদাররাও আলু-পেঁয়াজের দর এমনই হাঁকাচ্ছেন। পেঁয়াজ কেউ ৫০ টাকা, কেউ আবার ৫৬ টাকা কিলোয় বিক্রি করছেন। আমরা কোথায় যাবো?


    বারুইপুর থানার সামনে কাছারি বাজারেও এমন চড়া দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই এলাকার বাসিন্দা কাজল ঘোষ বলেন, আলু কেউ ৩৬ টাকা কেউ ৩৮ টাকা দরে বিক্রি করছেন। একেবারে খারাপ আলু ৩০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম ৪৮ টাকার উপরে ওঠেছে, সব্জির দামও চড়া। পুলিস প্রশাসনের কোনও নজর নেই। বারুইপুর পুরাতন বাজারেও একই অবস্থা। আলু, পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সব্জির দাম আমাদের নাগালের বাইরে। যে যাঁর মতো দাম নিচ্ছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)