হাঁস ও মুরগির বাচ্চা বণ্টনে রাশ, কমানো হল ৪ লক্ষ উপভোক্তা
বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: হাঁস ও মুরগির বাচ্চা প্রতিপালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন এ রাজ্যের বহু মানুষ। রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দপ্তর এদের ২৮ দিনের বাচ্চা দেয়। গত দু’বছর ১৫ লক্ষ উপভোক্তা হাঁস ও মুরগির বাচ্চা পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে উপভোক্তার সংখ্যা কমাল রাজ্য। সাড়ে ১০ লক্ষ উপভোক্তাকে এবার বাচ্চা বণ্টন করা হবে। গত দু’বছরের তুলনায় এবার সাড়ে চার লক্ষ কমল প্রাপক সংখ্যা।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য সময়ে বণ্টন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি জেলাগুলি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সে কাজ শুরু হয়েছে। ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকায় ২৮ দিন বয়সি বাচ্চা সংগ্রহ ও বিলি তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। সে কারণেই উপভোক্তার সংখ্যা এবার কমানো হয়েছে বলে অনুমান। সূত্রের খবর, প্রতি উপভোক্তা ১০টি হাঁস বা মুরগির বাচ্চা পাবেন। নিয়ম অনুযায়ী, একদিনের বাচ্চা কিনে প্রাণী পালকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারা বাচ্চাগুলিকে ২৮ দিন পর্যন্ত বড় করে। তারপর সরকার তা কিনে উপভোক্তাদের বণ্টন করে। এবার ৯ লক্ষ উপভোক্তা মুরগির বাচ্চা ও দেড় লক্ষ উপভোক্তা পাবে হাঁসের বাচ্চা। সব মিলিয়ে ৯ কোটি মুরগি ও দেড় কোটি হাঁস বিলি হবে রাজ্যজুড়ে। ২০২৩-’২৪ সালে ১৩ লক্ষ মুরগি দেওয়া হয়েছিল। এবার সংখ্যা কমিয়ে ন’লক্ষ হয়েছে। হাঁসের সংখ্যা ২০ হাজার কমেছে। প্রসঙ্গত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডিমের উৎপাদন রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক। তাই এ জেলাতেই সবথেকে বেশি বিলি হবে হাঁস-মুরগি। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া এবং পূর্ব বর্ধমানে প্রায় ৫০ হাজার উপভোক্তার মধ্যে বিলি করা হবে। উপভোক্তার সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার ফলে আগামী বছর ডিম উৎপাদনে এর কোনও প্রভাব পড়বে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।